ঢাকা বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • ফের বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করলো ভারত অবৈধ পথে ইরানে প্রবেশ চেষ্টা, তীব্র শীতে ৪০ আফগান অভিবাসীর মৃত্যু রোজায় কৃত্রিম সংকট ঠেকাতে পৌনে ৫ কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনছে সরকার সন্ত্রাসীদের দৌড়ের ওপর রাখবেন, নইলে ওরা আপনাদের দৌড়ের ওপর রাখবে কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে ফের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ নোয়াখালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৫ মাথায় বালিশ ঠেকিয়ে গুলি, কাটা হতো পেট, এরপর ফেলে দেওয়া হতো নদীতে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা নয়, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে গণঅধিকার পরিষদ যে ৫৭ দল অংশ নিতে পারে নির্বাচনে, কী তাদের প্রতীক আমরা এমন নির্বাচন চাই, যেখানে ভয় ও বাধা থাকবে না: প্রধান উপদেষ্টা
  • ভরা মৌসুমেও ইলিশের আকাল

    ভরা মৌসুমেও ইলিশের আকাল
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের দেখা মিলবে। কিন্তু ভরা মৌসুমেও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্খিত ইলিশ। ফলে জেলেদের মধ‍্যে দাদন, মহাজনী লোন, দৈনিক সুদের টাকা পরিশোধ করার চাপে হতাশার ছাপ দেখা দিয়েছে।

    জ্যৈষ্ঠ থেকে ভরা মৌসুম চলছে ইলিশের। কিন্তু জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণেও আশানুরূপ দেখা মিলছে কাঙ্খিত ইলিশ। নিষেধাজ্ঞার পর গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরা। কিন্তু নদ-নদীতে দেখা মিলছে না তেমন ইলিশের। সাগরে মোটামুটি ইলিশ পাওয়া গেলেও মেঘনা, তেতুলিয়া নদীতে মাছের হাহাকার।

    ইলিশের মৌসুমেও মাছ ধরতে না পারায় দূরচিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। একই সঙ্গে হতাশ আড়তদাররাও। সারা দিনে দুই এক ঝুড়ি মাছ ঘাটে আসলেও তেমন হইচই নেই চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া, সামরাজ, নতুন সুইজ, খেজুর গাছিয়া ,বকসি, ঢালচর ও চরপাতিলার মাছ ঘাটগুলিতে। সেই সঙ্গে হাটবাজারগুলোতেও ইলিশের সেই হাঁকডাক নেই। ফলে উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার জেলে হতাশায় দিন পার করছেন।

    উপজেলার চরকচ্ছপিয়ার জেলে জসিম ও চরকুকরি-মুকররি ট্রলার মাঝি মফিজ বলেন, ‌‌‘ভরা মৌসমেও নদীতে মাছ নাই। দিন-রাত জাল ফেলে ৫-১০ টা মাছ পাই তা বিক্রি করে যে টাকা হয় তাতে ডিজেলের দাম হয় না। তারপরও পোলাপাইন নিয়ে অনেক কষ্টে চলে সংসার।’

    সামরাজের মৎস্য ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন ও মাহমুদ হাসান বলেন, টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। জেলেরা সাগরে গেছে। কিন্তু ভরা মৌসুমেও ইলিশ পাচ্ছেনরা তারা। দৈনিক ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বাজার নিয়ে জেলেরা নদীতে যায়। রাত দিন জাল ফেলে মাছ পায় ৩-৪ টি তা বিক্রি করে যে টাকা পায় তাতে দোকানের মালামালের টাকা দিলে আর জেলেদের টাকা থাকে না। যে কারণে জেলেরা পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

    উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো মারুফ হেসেন মিনার বলেন, চলতি বছরে সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় ইলিশের তেমন দেখা মিলছে না। বৃষ্টি যতো বেশি হবে মাছের ততো দেখা মিলবে। তবে ভোলাসহ উপকূলীয় কিছু জায়গায় মোটামুটি দেখা যাচ্ছে। দেরিতে হলেও মাছ হবে এমনটা আশা করা যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইলিশ মাছের মৌসুম পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই এই ভরা মৌসুমেও ইলিশ ধরা পড়ছে না।


    এএজে
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ