ঢাকা শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

Motobad news

চুল-দাড়ি কাটা নিয়ে তর্ক, হিযবুত তাওহীদ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা!

চুল-দাড়ি কাটা নিয়ে তর্ক, হিযবুত তাওহীদ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা!
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

চুল দাড়ি কাটা নিয়ে তর্কের জেরে সুজন হোসেন (৩০) নামে এক যুকবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১০ জন।  

বুধবার ভোরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুজন। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার চর ঘোষপুর নফসারের মোড়ের হিযবুত তাওহীদের কার্যালয়ের সামনে হামলায় তিনি আহত হন।

ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বাড়িতে আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

নিহত সুজন সদর উপজেলা হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুর মধ্যপড়া গ্রামের মৃত আনিছুর রহমান মন্ডলের ছেলে। তিনি হিযবুত তাওহীদ পাবনা জেলা শাখার সদস্য এবং পেশায় ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, নফসারের মোড়ে কার্যালয় করে সুজন ও তার সমর্থকরা হিযবুত তাওহীদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল। তাদের মতাদর্শ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকাবাসীদের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ওই ক্লাবের সঙ্গে একটি সেলুনের দোকানে হিযবুত তাওহীদের এক সদস্যের চুল-দাড়ি কাটা নিয়ে তর্ক হয়।

৩০ মিনিট পর স্থানীয় শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের কার্যালয়ে হামলা করে। হিযবুত তাওহীদ সদস্যদেরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সুজনের অবস্থার অবনতি হয়। তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সুজনের ভাই মোমেনুল ইসলাম বলেন, ‘হিযবুত তাওহীদের মতাদর্শ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে সুজনের দ্বন্দ্ব ছিল। আমরা তাকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু সে শোনেনি। গতকাল রাতে চুল-দাড়ি কাটা নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে তর্ক হয়। পরে আমাদের এলাকার শেখ গোষ্ঠীর লোকজন লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের কার্যালয়ে হামলা করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। ’

এ বিষয়ে হিযবুত তাওহীদের পাবনা জেলা শাখার আমির সেলিম শেখ বলেন, ‘ঘোষপুর ইউনিট কার্যালয়ে দলের সদস্যদের নিয়ে আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ অনেক মানুষ আমাদের কার্যালয়ের সামনে এসে হামলা করে। ’

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, ‘ওইখানে হিযবুত তাওহীদের কার্যালয় আছে। সেখানে তাদের সঙ্গে এলাকাবাসীর বিরোধ ছিল। রাতে সম্ভবত চুল-দাড়ি কাটা নিয়ে হিযবুত তাওহীদের এক সদস্য এক যুবককে থাপ্পড় মারেন। পরে স্থানীয় কিছু লোক দলবদ্ধ হয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ’


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন