ভোলায় নারী নির্যাতন মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা আটক


ভোলায় নারী নির্যাতন মামলায় মীর রফিউদ্দিন নামে এক কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তাকে শুক্রবার রাত সারে ১১ টায় আটক করেছে ভোলা সদর থানার পুলিশ। মীর রফিউদ্দিন বাপ্তা ৫নং ওয়ার্ডের মৃত্যু ছাদেক মীরের ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, ভোলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের চরছিফলী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম এর মেয়ে আমেনা খাতুন ইতির সাথে ২০১৪ সালে পারিবারিক ভাবে সদর উপজেলার চর ছিফলী গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেনের পুত্র মেহেদী হাসানের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দু বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এদিকে মেহেদী হাসান একটি এনজিওতে চাকুরী করেন, অন্যদিকে আমেনা খাতুন ইতি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
ভালোই কাটছিলো তাদের দাম্পত্য জীবন চলার পথে। হুট করেই যৌতুক লোভী মেহেদী হাসানের মাথায় চেপে বসে আমেনা খাতুন ইতির কাছ থেকে যৌতুক দাবীর চাপ। প্রতি নিয়তই চলছে মারধরের মতন ঘটনা। যৌতুকের জের ধরে প্রায় নির্যাতন করেন মেহেদী হাসান। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমেনা খাতুন ইতি বিবাদী মেহেদী হাসান এর ভগ্নীপতি ব্যাংক কর্মকর্তা মীর রফিউদ্দিনের কাছে সমাধানের জন্য যায়। কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তা মীর রফিউদ্দিন কোনো সমাধান না দিয়ে উল্টো আমেনা খাতুন ইতির প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এবং বলেন তার শ্যালক যা চায় তা দিয়ে দিতে। কিন্তু আমেনা খাতুন তা দিতে অস্বীকার করলে তার গায়ে হাত তোলেন ব্যাংক কর্মকর্তা মীর রফিউদ্দিন।
এ ঘটনায় ভোলা সদর থানায় গত ১১ আগষ্ট স্বামী মেহেদী হাসানকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে আমেনা খাতুন ইতি একটি মামলা দায়ের করেন । ওই মামলায় আটককৃত ব্যাংক কর্মকর্তা মীর রফিউদ্দিন ২নং আসামি।
এদিকে মীর রফিউদ্দিন কে ছাড়াতে জোর তদবির চলছে বলেও জানান ভুক্তভোগীর পরিবার। মামলার বাদি ইতি দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, মীর রফিউদ্দিনকে থানায় আনা হয়েছে, ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এইচকেআর
