ওসি মনিরুলের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ


ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য অনুসন্ধানের অনুমোদন ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে কমিশন।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, রমনা মডেল থানার ওসি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অনুমোদন ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে দুদক।
গত ১৭ আগস্ট দুদকের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডলের সই করা এক চিঠিতে অনুসন্ধানের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এদিকে ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১০ আগস্ট ওই ওসির সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। হাইকোর্ট তাকে এ বিষয়ে দুদকে আবেদন জমা দিতে বলেন।
এরপর ১১ আগস্ট রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের রাজধানীতে আট তলা বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে চিঠি দেন সুমন।
দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বরাবর পাঠানো চিঠিতে আইনজীবী সুমন ওসি মনিরুল ইসলামের সম্পদের অনুসন্ধানপূর্বক আইনি পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
অপরদিকে এক প্রতিবেদন বলা হয়, ‘ওসি মনিরুল ইসলাম ঢাকায় আট তলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এ বিপুল সম্পদের মালিক তিনি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ’
‘সরকারি একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ওসি মনিরুলের এসব অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ সূত্র বলছে, যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার সম্পদের পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি। ’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সাকুল্যে সর্বোচ্চ ৫০-৭০ হাজার টাকা বেতন পান। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন। ’
এইচকেআর
