ঢাকা বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

Motobad news

নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ, জেলে পাড়ায় হাহাকার 

নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ, জেলে পাড়ায় হাহাকার 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মেঘনা নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।নিষেধাজ্ঞার কারণে  জেলেরা জাল,  নৌকা ঘাটে রেখে অলস সময় কাটাচ্ছে। 

উপজেলা মৎস্যবিভাগের  তথ্যমতে, ৭ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরা,  বিক্রি, মজুদ ও পরিববহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।  নিষিদ্ধ সময়ে  আইন অমান্য  করলে জেল- জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে । নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে  জেলেদের  খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। 

সরেজমিনে গিয়ে জেলেদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকার যে পরিমান চাল বরাদ্দ দিয়েছে তা ঠিকমতো  তাদের  কাছে পৌঁছায় না।  তাই  অতি কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন  জেলেরা। কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন। মেঘনা নদীর তীর  ঘেঁষা  ভবানীপর ও সৈয়দপুর  ইউনিয়ন। এই  দু'টি  ইউনিয়নের কয়েক হাজার জেলে মেঘনায় মাছ শিকার  করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভবানীপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন  ওয়ার্ডে বসবাস  করছেন কয়েক'শ জেলে পরিবার। ঝুপড়ি ঘরে তাদের বসবাস।  নদীতে মাছ ধরে চলে তাদের জীবন।  মাছ ধরতে না পারলে সংসার চলেনা। 

জেলে পাড়ার সুমন মাঝি জানান, নদীতে অভিযান চলছে। এখন কাজকর্ম নেই। অন্য কাজও জানি না। তাই অনেক কষ্টে আছি। ' 

সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের জেলে মো. হোসেন।  বয়স ২৭। তাঁর  ওপর  বাবা-মা, ভাইবোনের ভরন পোষণের দায়িত্ব । একদিন  আয় করতে না পারলে উপোষ থাকতে হয় পরিবারের  সবাইকে । নিষেধাজ্ঞার কারণে তাঁর নৌকা ঘাটে বাঁধা। এখন  অটোরিকশা  চালাচ্ছেন। 

হোসেন বলেন, '২২ দিন নদীতে  মা ইলিশের  অভিযান।  মাছ না ধরলে একদিনও সংসার চলেনা।  সরকার চাল দেয়,  তাও ঠিক মতো পাই না। কি করবো? রিক্সা চালিয়ে যা পাই,  চাল-ডাল কিনে কোনোমতে চলি।'  চরখলিফা ৭ নং ওর্য়াডের জেলে বাবুল বলেন, ' আমাগো( আমদের) চাল বেকে (সবাই)  খায়। সরকার  সাগরে অভিযান দিছে। এহন ট্রলারের জাল বুনি। মালিক অল্প কিছু টিয়া দেয়।  কোনোমতে দিন  চলে।' 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন বলেন, দৌলতখান উপজেলায় ২২ হাজার নিবন্ধিত  জেলে রয়েছেন।  ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২০ হাজার জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ  দিয়েছে সরকার।  ইলিশের  অবাধ প্রজনের লক্ষে ব্যাপক প্রচারণা ও  সচেতনতা সভা করা হয়েছে। প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে মৎস্যবিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 


মিজানুর রহমান/ ‍এইচকেআর 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন