মনপুরায় উপকূলের সর্বত্র ৫-৭ ফুট জোয়ারে প্লাবিত


ভোলার মনপুরা উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণীঝড় সিত্রাং। ঘূর্ণীঝড়ের প্রভাবে উপকূলের শহর রক্ষা বাঁধ উপচে মেঘনার পানি প্রবেশ করে। এতে পুরো উপজেলায় ৫-৭ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়। কোথাও কোথাও বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে। এতে উপজেলার সকল পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়াও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার গভীর রাত ১২ টায় মনপুরা উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণীঝড় সিত্রাং। এতে উপজেলার সদর হাজিরহাট বাজার, থানা, পশুহাসপাতাল সহ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা মেঘনার পানিতে প্লাবিত হয়।
এতে হাজিরহাট বাজারের আনুমানিক ৫ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আবুয়াল হোসেন আবু মেম্বার।
মেঘনার পানি বাঁধ উপচে মুল ভূ-খন্ডে প্রবেশ করায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই নিজেদের ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে থাকে। অনেকে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল হেফাজতে নিতে চেষ্ঠা করে। তৎক্ষনে পুরো উপকূল ৫-৭ ফুট জোয়ারে ভেসে যায়।
৭০ উর্ধ্ব বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা কাশেম মাতাব্বর জানান, ৭০ সালের বন্যার পর এই উপকূলের মানুষ আর কখনও পানি উঠতে দেখেনি। এছাড়াও অনেকে জোয়ারের পানি দেখে কেঁদে ফেলে আল্লাহকে ডাকতে দেখা গেছে।
এই ব্যাপারে হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, ঘূর্ণীঝড় সিত্রাং এর আঘাতে হাজিরহাটের পুরো ইউনিয়ন মেঘনার পানিতে ভেসে গেছে। সবচেয়ে বেশি হাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশিষ কুমার জানান, উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন হতাহত খবর পাওয়া যায়নি ও ক্ষয়ক্ষতির কি হয়ছে তা তিনি তাৎক্ষনিক জানাতে পারেনি।
এই রির্পোট সোমবার (রাত দেড়টায় ) লেখার সময় হাজিরহাট বাজারে পানিতে ডুবে ছিল।
এইচকেআর
