যাদের নিয়ে ঋষি সুনাকের মন্ত্রিসভা


আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ দিয়েছেন ঋষি সুনাক।
১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে সরকারি বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথম ভাষণে আস্থা ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন তিনি। খবর বিবিসি।
ঋষি সুনাক বলেন, আমাদের দেশ এখন এক বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মুখে এবং পূর্বসুরিদের কিছু ভুল এ সরকারকে সংশোধন করতে হবে। এ জন্য কঠিন কিছু সিদ্ধান্তও নিতে হবে।
সুনাকের পদ নিশ্চিত হওয়ার পর তার মন্ত্রিসভা কেমন হতে যাচ্ছে তা নিয়ে ছিল টানটান উত্তেজনা। কে ঢুকলেন বা কে বাদ পড়লেন, কৌতুহল ছিল সব মহলে।
এমন উত্তেজনার ভেতর তিনি দায়িত্ব নেয়ার পরপরই পদত্যাগ করেন অন্তত ১০ জন মন্ত্রী। এরপর থেকে নতুন মুখ নিয়ে আলোচনা আরো জোরালো হয়।
মন্ত্রিসভায় বরিস জনসনের অনেক মন্ত্রীকেই ফিরিয়ে এনেছেন সুনাক। পরিবর্তন করা হয়েছে লিজ ট্রাস আমলের কিছু মন্ত্রীকে। ডমিনিক রাব হয়েছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিচার মন্ত্রী, জনসনের আমলেও তিনি একই মন্ত্রণালয় পেয়েছিলেন। নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে স্টিভ বারক্লে হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া গ্রান্ট শ্যাপস ব্যবসা বিষয়ক মন্ত্রী, পেনি মরডেন্ট হাউস অব কমন্সের নেতা, জিলিয়ান কিগান শিক্ষামন্ত্রী, কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান নাদিম জাহাউই দপ্তরবিহীন মন্ত্রী, কেমি ব্যাডেনোচ বাণিজ্যমন্ত্রী, মেল স্ট্রাইড কর্ম ও পেনশন বিষয়ক মন্ত্রী, মিশেল ডনেলান সংস্কৃতি মন্ত্রী, থেরেসি কফি পরিবেশমন্ত্রী, সাইমন হার্ট চিফ হুইপ, মার্ক হারপার পরিবহনমন্ত্রী, টম টুগেনদাত নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী এবং রবার্ট জেনরিক অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদে লিজ ট্রাসের কয়েকজন মন্ত্রীকে দায়িত্বে বহাল রেখেছেন সুনাক। তারা হলেন চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানসহ কয়েকজন।
যারা পদত্যাগ করেছেন
ঋষি নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণার আগেই পদত্যাগ করেন ব্যবসা বিষয়ক মন্ত্রী জ্যাকব রিস-মগ ও বিচারমন্ত্রী ব্র্যান্ডন লুইস। এরপর একে একে সরে দাঁড়ান শিক্ষামন্ত্রী কিট ম্যালথাস, ওয়েলস বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড, পরিবেশমন্ত্রী রনিল জয়াবর্ধনে এবং লেভেলিংআপ মন্ত্রী সাইমন ক্লার্ক। পদত্যাগ করেছেন কর্ম ও পেনশন প্রতিমন্ত্রী ক্লোয়ি স্মিথ এবং উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ভিকি ফোর্ডও। এছাড়া কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান জেক বেরি নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের চিফ হুইপ ওয়েন্ডি মর্টন।
এক নজরে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা
জেরেমি হান্ট, অর্থমন্ত্রী
ডমিনিক রাব, ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও বিচারমন্ত্রী
জেমস ক্লিভারলি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বেন ওয়ালেস, প্রতিরক্ষামন্ত্রী
সুয়েলা ব্রেভারম্যান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টিভ বার্কলে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অলিভার ডাউডেন, চ্যান্সেলর অব দ্য ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টার (ব্রিটিশ মন্ত্রিপরিষদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদমর্যাদার মন্ত্রী)
গ্রান্ট শ্যাপস, ব্যবসা বিষয়ক মন্ত্রী
পেনি মর্ডান্ট, হাউস অব কমন্সের নেতা এবং কাউন্সিলের লর্ড প্রেসিডেন্ট
জিলিয়ান কিগান, শিক্ষামন্ত্রী
নাদিম জাহাউই, কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান এবং দপ্তরবিহীন মন্ত্রী
কেমি ব্যাডেনোচ, বাণিজ্যমন্ত্রী
মেল স্ট্রাইড, কর্ম ও পেনশন মন্ত্রী
মাইকেল গভ, লেভেলিং আপ মন্ত্রী
মিশেল ডনেলান, সংস্কৃতিমন্ত্রী
থেরেসি কফি, পরিবেশমন্ত্রী
ক্রিস হিটন-হ্যারিস, উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী
অ্যালিস্টার জ্যাক, স্কটল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী
ডেভিড ডেভিস, ওয়েলস বিষয়ক মন্ত্রী
সাইমন হার্ট, চিফ হুইপ
লর্ড ট্রু, হাউস অব লর্ডসের নেতা
ভিক্টোরিয়া প্রেন্টিস, অ্যাটর্নি জেনারেল
জেরেমি কুইন, পেমাস্টার জেনারেল এবং ক্যাবিনেট অফিস মন্ত্রী
মার্ক হারপার, পরিবহনমন্ত্রী
জন গ্লেন, অর্থ বিভাগের মুখ্যমন্ত্রী
জনি মার্সার, প্রবীণ বিষয়ক মন্ত্রী
টম টুগেনদাত, নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী
গ্যাভিন উইলিয়ামসন, দপ্তরবিহীন মন্ত্রী
রবার্ট জেনরিক, অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী
অ্যান্ড্রু মিচেল, উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী
এএজে
