দৌলতখানে সোনার দোকানে অ্যাসিডের ঢালাও ব্যবহার!


ভোলার দৌলতখান পৌরসভার চৌধুরী মার্কেটে ১০টি সোনা- রূপার দোকান। মার্কেটের রিতা জুয়েলার্সে ঢুকতেই দেখা গেল, সোনার গহনায় তরল কিছু ব্যবহার করছেন কারিগরেরা। কী এটা? কারিগর বললেন, সালফিউরিক অ্যাসিড। লাইসেন্স আছে তো? প্রশ্ন করতেই ঘাবড়ে গিয়ে দোকানের মালিক মিহির বাবু বলেন, ব্যবহারের জন্য আমরা অল্প পরিমাণে অ্যাসিড রাখি। লাইসেন্স লাগে এই তথ্য আমাদের জানা নেই। 'দৌলতখান পৌরসভা ছাড়াও উপজেলার হাটে-বাজারে অন্তত ২৫টি সোনার দোকানে পালিশের কাজে সালফিউরিক অ্যাসিডের ব্যবহার হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি বলেন, তাঁর দোকানে গহনা তৈরির পর সালফিউরিক অ্যাসিডের সাহায্যে পালিশের কাজ হয়। নাইট্রিক অ্যাসিড লাগে সোনা গালানোর কাজে। কোথা থেকে পেয়ে থাকেন এই অ্যাসিড? দোকানি জানালেন, ভোলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে অ্যাসিড সংগ্রহ করেন। সচেতন মহলের মতে, এভাবে সোনার দোকানে ঢালাও অ্যাসিডের ব্যবহার হলেও প্রশাসন অভিযান না চালানোয় পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। আইনকে কেয়ার করছেন না সোনার দোকানিরা।
লাইসেন্স নেই, অথচ অধিকাংশ দোকানেই অ্যাসিড থাকে। এক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী মার্কেটের স্বপ্না জুয়েলার্স এন্ড ডায়মন্ড গ্যালারীর মালিক সুমন প্রতাপ সিং বলেন, 'আমার দোকানে ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রি হয় না। তবে অর্ডার পেলে কিনে এনে দেই। আমার অ্যাসিডের লাইসেন্স আছে।' অ্যাসিড বিক্রি করলে করতে পারি। তবে বিক্রি করিনা। '
দৌলতখান সরকারি আবু আবদুল্লা কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক গোবিন্দ প্রসাদ সরকার বলেন, ' সোনার গয়না তৈরির পর উজ্জ্বলতা আনতে কারিগরেরা সালফিউরিক অ্যাসিড ব্যবহার করে। নাইট্রিক অ্যাসিড ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মিশিয়ে তৈরি হয় অ্যাকোয়া রিজিয়া। যা সোনাকে দ্রুত গলিয়ে দেয়।' তবে অ্যাসিড ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স লাগে ।
দৌলতখান স্বর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি, রানু বাবুর ব্যবহহৃত মুঠোফোনে কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।
এইচকেআর
