সিত্রাংয়ের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক


ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলার দৌলতখানে শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ফসলের মাঠে ঘাম জড়াচ্ছে কৃষকেরা। শষ্য ক্ষেতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করছেন তাঁরা।
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে রোপা আমন ও সবজি ক্ষেত। ক্ষেতে পানি জমে থাকায় লাউ, লালশাক, ঢ্যাঁড়স, কাচা মরিচ, মুলা, বাঁধাকপি, শিম, ফুলকপিসহ হরেক রকমের সবজির ক্ষতি হয় । দমকা হাওয়ায় আমন ধান গাছ হেলে পড়ায় কাঙ্খিত ফলন পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় কৃষকেরা।
উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সৈয়দপুর ইউনিয়নের চরশুভী গ্রামের কৃষক ইউছুপ আলী বলেন, 'এ বছর দুই একর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ করেছি । ঘূর্ণিঝড়ে সব সবজি নষ্ট হয়ে গেছে । এখন নতুন করে চাষ করছি। ফলন ভালো হলে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবো।'
ফসলের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা কৃষকরা নতুন করে জমি তৈরি ও বীজ বোনা এবং ফসল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। চরশুভী ৪ নং ওয়ার্ডের সবজি চাষী লিটন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে সব সবজি ক্ষেত তছনছ হয়ে গেছে। এখন ধারদেনা করে আবার সবজির আবাদ করছি। ক্ষোভ প্রকাশ করে এই কৃষক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে সব শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সরকারিভাবে এখনও কোনো সহায়তা পাইনি। ওই গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক বলেন, এ বছর শীতকালীন আগাম সবজির চাষ করেছিলাম। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, দৌলতখানে সিত্রাংয়ের প্রভাবে ৪শ' হেক্টর জমির সবজি সম্পুর্ন ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ২ হাজার হেক্টর উফষী আমন, ২শ' হেক্টর স্থানীয় জাতের আমনের আংশিক ক্ষতি হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়রা সিদ্দিকা বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মাঠ পরিদর্শন এবং কৃষকদের খোঁজখবর নিয়েছি। কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে কৃষকরা লোকসানে না পড়েন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এইচকেআর
