ঢাকা শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

খাসোগিকে হত্যার অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পেয়েছেন সৌদি যুবরাজ

খাসোগিকে হত্যার অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পেয়েছেন সৌদি যুবরাজ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার অভিযোগ থেকে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে রেহাই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হত্যাকাণ্ডে যুবরাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে খাসোগির বাগ্‌দত্তা মামলা করেছিলেন।

২০১৮ সালের ২ অক্টোবর খাসোগিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, সৌদি নেতৃত্ব ও তাঁর কর্মকর্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ও গণতন্ত্রের সমর্থক জামাল খাসোগিকে অপহরণ করে আটকে রেখে মাদক প্রয়োগ ও নির্যাতন করে হত্যা করেছেন।

মার্কিন গোয়েন্দারা বলছেন, সৌদি যুবরাজের আদেশেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তাঁরা মনে করেন। কিন্তু আদালতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমান যেহেতু এখন সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী, তাই তিনি এ মামলা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

এ ঘটনার পর খাসোগির বাগ্‌দত্তা হেতিজে চেঙ্গিস টুইটারে লিখেছেন, ‘এ দায়মুক্তির মধ্য দিয়ে খাসোগির আবার মৃত্যু হলো।’

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ডও এ দায়মুক্তির সমালোচনা করেছেন।

২০১৭ সালে প্রিন্স মোহাম্মদকে তাঁর বাবা বাদশা সালমান যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা করেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তবে তিনি বরাবরই খাসোগি হত্যাকাণ্ডে তাঁর কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করে আসছেন।

মার্কিন বিচার বিভাগের আইনজীবীরা বলছেন, একটি বিদেশি সরকারের বর্তমান প্রধান হিসেবে সৌদি যুবরাজ মার্কিন আদালতের বিচারের আওতা থেকে রেহাই পাবেন। রাষ্ট্রপ্রধানের দায়মুক্তির রীতি প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনে সুপ্রতিষ্ঠিত।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র লিখিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের দীর্ঘস্থায়ী নীতি অনুযায়ীই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মামলার অভিযোগের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’

এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই সন্দেহের তির ছিল সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দিকে। কারণ, যুবরাজ সালমানসহ সৌদি আরবের শাসকগোষ্ঠীর কঠোর সমালোচক ছিলেন খাসোগি। এ নিয়ে তিনি বেশ কিছু লেখা লিখেছেন ওয়াশিংটন পোস্টে। বিভিন্ন তদন্তে উঠে এসেছে, এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

বিবিসি


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন