দৌলতখানে নির্বিচারে অতিথি পাখি শিকার, আটক দুই


ভোলার দৌলতখানে নির্বিচারে অতিথি পাখি নিধন করা হচ্ছে। শীত মৌসুম আগমনের সাথে সাথে চলছে অতিথি পাখি নিধনের মহোৎসব। রাত ও দিনের বেলায় কিছু অসাধু শিকারী ফাঁদ পেতে ও বিষ টোপ দিয়ে এসব অতিথি পাখি শিকার করছে।
দৌলতখানের বিভিন্ন চরাঞ্চলে ফাঁদ পেতে অসাধু শিকারিরা এসব অতিথি পাখি শিকার করে চলেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার ভবানীপুরের হাজারী চর থেকে ফাঁদ পেতে ও বিষ টোপ দিয়ে অতিথি পাখি শিকারের সময় তিন শিকারীকে আটক করা হয়।
এসময় তাদের থেকে বিষাক্ত কার্বোফুরান কীঠনাশক ও বিডিটি কীটনাশক উদ্ধার করা হয়। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন ও দৌলতখান থানার এস আই শাহাদাৎ হোসেন তাদের আটক করেন। আটককৃত তিন শিকারিকে দৌলতখান বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এদের মধ্যে একজনের বয়স কম হওয়ায় আলমগির ও সবুজ নামের দুই শিকারিকে শুক্রবার ভোলা কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃত তিন শিকারির বাড়ি দৌলতখান পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে ও উপজেলার চরপাতায়। স্থানীয়রা জানায়, অসাধু শিকারিরা এসব অতিথি পাখি জোড়া প্রতি ৭শ থেকে ৮শ টাকায় বিক্রি করে রমরমা ব্যবসা করে আসছিল। দৌলতখানে নির্বিচারে পাখি শিকার করার ফলে অতিথি পাখির আগমন অন্যান্য শীত মৌসুমের তুলনায় এবার কমে যাচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসম্য ও দিনদিন নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজ হাচনাইন জানান, গোপন সূত্রে জানতে পারি একটি অসাধু চক্র বিষ দিয়ে নদীতে অতিথি পাখি শিকারের জন্য তৎপর হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বিষ দিয়ে নিধনকৃত অতিথি পাখিসহ তিন শিকারিকে আটক করা হয়।
ভোলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সহযোগীতায় শিকার করা অতিথি পাখিসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজে
