ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

Motobad news

চরফ্যাশনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

চরফ্যাশনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

চরফ্যাশন উপজেলার ৪ নং জিন্নাগড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সময় নৌকার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার কর্মীরা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মসজিদের মধ্যে প্রায় এক ঘন্টা অবরুদ্ধ এবং নির্বাচনী প্রচারণায় পথে পথে বাধার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধ মোল্লা আবুল কালাম আজাদ।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টায় চরফ্যাশন ব্রজ্যগোপাল টাউন হলের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা গুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় কাশেমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন নৌকার মনোনীত প্রার্থী মো. হোসেনের উপস্থিতিতে তার সহযোগিরা আমার আনারস মার্কার মহিলা ওয়ার্কারদের অকর্থ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং তাদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের হাতের মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যান।

 ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আমি আমার কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা কালে জিন্নাগড় ৫ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন আমার মোটরসাইকেলের পথরোধ করে আমাকে নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে আমাকে খুন-জখমের হুমকি দেয়।

২৪ ডিসেম্বর সকাল দশটায় জিন্নাগড় ৮ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন চকবাজারে আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর সহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। একইদিন সন্ধ্যায় ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড মজুমদার চৌমুহনী সংলগ্ন মসজিদে এশারের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হইতে চাইলে সেখানে আমাকে প্রায় এক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে নৌকার মনোনীত প্রার্থী হোসেনের সন্ত্রাস বাহিনীরা। পরে চরফ্যাশন থানা পুলিশ আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। তিনি দাবি করেন নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর থেকেই তাকে নানাভাবে হুমকি ও ভয়-ভীতি এবং পথে পথে বাধা দিচ্ছেন নৌকা মনোনীত প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা।

এসব ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, থানায় এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোল্লা আবুল কালাম আজাদ সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, বর্তমানে আমি নিজেকে নিরাপদ মনে করছি না, তাই উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নিজের এবং তার ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জিন্নাগড় ইউনিয়নের প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট ও সিসি ক্যামেরা দেওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানান। পাশাপাশি চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে সংশয়ের কথাও তুলে ধরেন তিনি।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন