তেলবাহী ট্যাংকারের উদ্ধারকাজ থমকে আছে


১১ লাখ ৩৪ হাজার লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে ভোলার মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্যাংকার জাহাজটির উদ্ধারকাজ শুরুর পর আবার বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বুধবার দুপুরের দিকে এমভি জোহর নামের বার্জ ও তিনটি জাহাজের সাহায্যে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া ও হুমায়রা নামের আরেকটি বার্জ না পৌঁছানোর কারণে উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল বাকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নতুন বার্জটি পৌঁছানোর পর কাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুরোদমে উদ্ধারকাজ শুরু হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারে কোম্পানির মালিকানাধীন সাগর বধূ-৩, সাগর বধূ-৪ ও সাগর নন্দিনী-৩ নামের তিনটি জাহাজ ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে।
গত রোববার ভোরে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলিসংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে তেলবাহী ট্যাংকার ওটি সাগর নন্দিনী-২ অন্য একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য এসএইচআর নেভিগেশন কোম্পানি লিমিটেডের একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি রয়েছে। ওই নেভিগেশন কোম্পানির তেলবাহী ট্যাংকার ওটি সাগর নন্দিনী-২।
ইতিমধ্যে তেলবাহী ট্যাংকারডুবির ঘটনা চার দিন পেরিয়ে গেছে। ভাটার টানে তেল সাগরের দিকে চলে গেছে। এ কারণে জলজ প্রাণী ও শ্বাসমূলীয় বনের উদ্ভিদ চরম ক্ষতির মধ্যে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদেরা। বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব উদ্ধারকারী জাহাজ না থাকায় ট্যাংকারটি উদ্ধারে মালিকপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে সংস্থাটি।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ সংরক্ষণ ও পরিচলন বিভাগের পরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারের সক্ষম, এমন কোনো উদ্ধারকারী জাহাজ বিআইডব্লিউটিএর নেই। তাই মালিকপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তাঁরা।
এএজে
