ভাণ্ডারিয়ায় মেধাবী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে আর্থিক অনুদান ইউএনও’র


পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ২নম্বর নদমুলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের দিন মজুর পরিমল হালদারের মেয়ে সাথী হালদার ভাণ্ডারিয়া মজিদা বেগম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ -৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
পরে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির জন্য অনলাইনে ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আবেদন করেন। গত বছরের জুলাই মাসে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভর্তির সুযোগ পায় সে।
দিন মজুর বাবা নানা কষ্টে মেয়েকে ভর্তি করতে পারলেও পরবর্তী আর্থিক সংকট মেটাতে পারছেন না। খবরটি জানার পরে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রানী ধর তাঁর কক্ষে সাথী হালদারকে বুধবার (২৫জানুয়ারি) ব্যক্তিগত ভাবে অনুদান হিসেবে ১০হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান করেন।
এসময় তিনি বলেন পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। মেয়েটির বাবা একজন দিন মজুর। তাঁর চারটি সন্তান। স্কুল, কলেজে পড়ে। বড় মেয়ে মনি হালদার ভাণ্ডারিয়া মজিদা বেগম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে বিএ পাস করে উচ্চ শিক্ষার চেষ্টা করছে, মেঝ মেয়ে সাথী হালদার একই কলেজ থেকে এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ -৫ পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বোটানিতে (উদ্ভিদ বিজ্ঞান) পড়ার সুযোগ পেয়েছে এবং পরের জমজ দুই ছেলেও ১৬নং নদমুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ইউএনও আরো বলেন, সাথি এবং বড় বোন মনি ভাণ্ডারিয়া মজিদা বেগম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যয়ন কালে কলেজ কতৃপক্ষও কিছুটা সুযোগ দেয়ার ফলে দারিদ্রতার শত বাধা অতিক্রম করে এ পর্যন্ত আসতে পারলেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ! সাথী এমনিতেই একটু বাক প্রতিবন্ধী। তবে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে এদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনে সহায়ক হবে। এসময় সাথী হালদার জানান ভর্তি হতে পারলেও দিন মজুর বাবার পক্ষে বই, খাতাপত্র সহ পরবর্তী আনুসাঙ্গীক প্রয়োজন মেটানো অসম্ভব।
এইচকেআর
