মঠবাড়িয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের


সফলতা পাওয়ায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে।
মঠবাড়িয়া পল্লীর মেঠো পথ দিয়ে হাটলে মঠগুলোত চোখ আটকে যায়। হলদে বর্ণের সরিষা ফুল জানান দেয় কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষে আগ্রহ দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন বিকেল বেলা ক্ষেতের পাশে ভিড় জমায় বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
উপজেলার মিরুখালী, গুলিশাখালী, তুষখালী, বেতমোর, বড়মাছুয়া, আমড়াগাছিয়া, সাপলেজা ও টিকিকাটা ইউনিয়নে সরেজমিনে কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সরিষা চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। তাই প্রতি বছর সরিষা চাষের জমির পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। সয়াবিন তৈলের মূল্য বৃদ্ধিও কারনে আপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর সরিষা তৈলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাল মূল্য পাচ্ছে কৃষকরা। তবে উপজেলায় সবচেয়ে বেশী সরিষা চাষ হয়েছে সাপলেজা ও মিরুখালী ইউনয়নে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় প্রায় ১’শ একর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল মাত্র ৭৫ একর জমিতে। ১ শত একর জমিতে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ মেট্রিকটন যার আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে স্থানীয় বাজার অনুযায়ী ৭৮ লাখ টাকা।
সাপলেজা ইউনিয়নের খেতাছিড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মজনু মিয়া (৫৫) এবং মিরুখালী গ্রামের প্রান্তিক চাষি মো. সেলিম (৩৫) জানান, কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে গত বছর সল্প জমিতে সরিষা চাষ করেছিলে। বীজ ক্রয়, চাষ ও সার-ওষুধ খরচ বাদে ২০-৩০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এবছর আরো অধিক জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সব খরচ বাদ দিয়ে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশংকা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, সরিষার তৈলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমারা কৃষকদের সাথে নিয়মিত ভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। তাদেও সার্বিক পরামার্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য সরকারী প্রনোদনার আওতায় কৃষকদের মধ্যে ৩ শত কেজি সরিষা বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকদের আগ্রহে ভবিষ্যতে প্রনোদনা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
এইচকেআর
