মাছ রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশকি মুদ্রা আর্জন করছি আমরা


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মাছে-ভাতে বাঙ্গালী এই প্রবাদ বাক্যটি হারিয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ‚রদর্শী পরিকল্পনায় ও একান্ত প্রচেষ্টায় দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। ৩৫ ধরনের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হওয়া সু-স্বাদু মাছ আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
এসব মাছের উৎপাদন এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, দেশের মাছ বিদেশে রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগ ব্যাপকভাবে গবেষণা করছে। এখন দেশে সারা বছর বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।
শনিবার সকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ইলিশ আহরণকারী মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ ও জাটকা ধরবেন না। এসব মাছই আগামী দিনের সম্পদ। একটি মা ইলিশ একবারে ছয় লাখ মাছ দেয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক, নৌ-পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান, নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন এসএম এনামুল হাসান, পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহেদুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ সাঈদুর রহমান, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক সিকদার চান, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জেলার কঁচা নদীতে হুলারহাট নৌবন্দর (লঞ্চঘাট) থেকে বেকুটিয়ায় অবস্থিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতু’ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নদীপথে অর্ধশতাধিক ট্রলারে মৎস্যজীবী ও নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ নিয়ে নৌ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটির নেতৃত্ব দেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম।
এইচকেআর
