আমতলীতে জমিজমা বিরোধে মাদরাসা ভাঙচুর


বরগুনার আমতলীতে শনিবার সকাল ৯ টার সময় জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে পুর্বচিলা গ্রামের দারুল কোরআন কিন্ডার গার্ডেন নুরানী মাদ্রাসা নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানান মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মো. ইমরান খান।
জানাগেছে, ২০২১ সালে হাফেজ মো. ইমরান খান তার ক্রয় করা সম্পত্তিত্বে পুর্বচিলা গ্রামে দারুল কোরআন কিন্ডার গার্ডেন নুরানী মাদ্রাসা স্থাপন করে পাঠদান করে আসছেন। জমিজমা বিরোধ ও পুর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে একই গ্রামের মহাসিন মৃধা, ইলিয়াস মৃধা, দুদা খান,মনজু হাওলাদার,আলমগীর মৃধা, হাবিব খান, মিলন খান, মামুনখানসহ ১০/১২ জন মিলে মাদ্রাসা ও হাফেজ মো. ইমরানের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মো. ইমরান খান বলেন, আমার কেনা সম্পত্তিতে মাদ্রাসা স্থাপন করি সেখানে কোন কারন ছাড়াই প্রভাবশালী মহাসিন মৃধার নির্দেশে ইলিয়াস মৃধা, দুদা খান, মনজু হাওলাদার, আলমগীর মৃধা হাবিব খান, মিলন খান, মনিক খান মামুনখানসহ ১০ /১২ জন ভাড়াটে লোক মাদ্রাসায় ও আমার বাড়ী ঘরে প্রবেশ করে হামলা ও ভাংচুর করে ।
এ সময় আমার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে ইলিয়াস মৃধা বলেন, আমাদের মাদ্রাসা নিয়ে কোন বিরোধ নেই। জমি জমা নিয়া দীর্ঘ দিন ধরে শালিস চলে আসছে । জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে মাদ্রাসা তৈরিতে বাধা দিলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায় ।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় বিগত ২ মাস পূর্বে আমতলী থানায় বসে এস আই সিদ্দিকুর রহমানের উপস্থিতিতে সিদ্বান্ত হয়েছিল যে মাদ্রসা তৈরিতে বা সংস্কার করিলে কোন পক্ষ বাধা দিতে পারেবেনা। কিন্ত আজ সকালে যে ঘটনা ঘটেছে তা আমি শুনেছি।
আমতলী থানার ওসি তদন্ত রনজিৎ সরকার বলেন, এঘটনায় এখোনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
