ঢাকা বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

Motobad news

ঝুঁকিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন লক্ষাধিক মানুষ

ঝুঁকিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন লক্ষাধিক মানুষ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঘূর্ণিঝড় মোখায়  ঝুঁকিতে বসবাস করছেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন আমতলী ও তালতলীর লক্ষাধিক মানুষ। মোখা মোকাবেলায় দুই উপজেলায় ১৭৪টি সাইক্লোণ সেল্টার এবং ৩ হাজার ৩০০ জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত  রাখা হয়েছে। 

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দুরে দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। উপখূলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীকে ৪ নং স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগর ও পায়রা নদীতে মাছ ধরারত জেলে ট্রলার ও নৌকাকে নিরাপদ স্থানে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। এদিকে পায়রা নদী সংলগ্ন পাঁচ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে।

চাওড়া ঘটখালী তিন’শ মিটার, বালিয়াতলী তিন  কিলোমিটার ও জয়ালভাঙ্গা এক কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিতে আছে। আমতলী ও তালতলী উপজেলা প্রশাসন এক লক্ষ মানুষের জন্য ১৭৪ টি সাইক্লোণ সেল্টার এবং ৩ হাজার ৩০০ জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তত  রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আমতলী উপজেলা প্রকল্প  বাস্তবায়ন  কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসাইন। 

শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে , সাগর ও পায়রা নদী সংলগ্ন নিদ্রা সকিনা,আশারচর, জলায়ভাঙ্গা, খোট্টারচর, আমখোলা, তালুকদারপাড়া, আগাপাড়া, নিউপাড়া, ফকিরহাট, চরপাড়া, গাবতলী, পচাঁকোড়ালিয়া, বালিয়াতলী, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম আমতলী, আমুয়ার চর, ঘটখালী, গুলিশাখালী ও হরিদ্রাবাড়িয়ার এলাকার মানুষ ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্কে রয়েছে।

তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান  বলেন, সাগর ও পায়রা নদী উত্তাল রয়েছে। মোখার খবরে এই মুহুর্তে সাগর ও নদীতে মাছ ধরা জেলে নৌকা ও ট্রলার অবস্থান করছে না। বালিয়াতলী গ্রামের ফিরোজ মোল্লা  বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নড়বরে। মোখার প্রভাবে পায়রা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

আমতলী সিপিপির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, ঘুর্ণিঝড় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার (শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ) দুরে বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। উপকুলীয় অঞ্চলকে ৪নং দুরবর্তী হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মানুষকে নিরাপদে নিতে স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত  রাখা হয়েছে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, মোখা মোকাবেলায় উপজেলায় ৬৩ টি সাইক্লোণ সেল্টার এবং ১১৮০ জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি  নেয়া হয়েছে। উপজেলায়  মানুষের জন্য ১১১ টি সাইক্লোণ সেল্টার প্রস্তুত  রাখা হয়েছে। 

আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড: এম এ কাদের  মিয়া বলেন, ঘ‍ূর্ণি মোখা মোকাবিলায়  উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষথেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 


 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন