ঢাকা শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

Motobad news

উৎকোচ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

উৎকোচ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সত্তারের বিরুদ্ধে উৎকোচ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ করেছেন একই দপ্তরের মাঠ মৌসুমে ট্রাভার্স জড়িপ কাজের ক্যাম্প অফিসার গিয়াস মাহমুদ রাজা মিয়া।  সোমবার সকালে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভূমি জড়িপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সত্তার সিকদার ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। রাজা মিয়াও একই এলাকার হওয়ায় সত্তার সিকদারের মাধ্যমে তেজগাঁও ভূমি জড়িপ অফিসে ট্রাভার্স জড়িপ কাজের ক্যাম্প অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি সেখানে কাজ দেওয়ার বিনিময়ে রাজা মিয়ার বেতন থেকে ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৩ হাজার টাকা ও ২০২১-২২ অর্থ বছরে দশ হাজার টাকা নেন। 

এরপর ২০২২-২৩ অর্থ বছরে তাকে কোন টাকা না দিলে তিনি রাজা মিয়ার বেতনের পুরো টাকা আটকে দেন। বেতন আটকে দেওয়ায় রাজা মিয়া ভূমি জড়িপ অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর আবেদন করেন। এক পর্যায়ে বেতনের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয় সত্তার সিকদার। 

এরপর তিনি বিভিন্নভাবে রাজা মিয়াকে হুমকি দিতে থাকে। পরে মিরপুর মডেল থানায় রাজা মিয়ার বিরুদ্ধে একটি হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করেন সত্তার সিকদার।

লিখিত বক্তব্যে গিয়াস মাহমুদ রাজা মিয়া অভিযোগ করেন, আব্দুস সত্তার সিকদার একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক। ইতিপূর্বে নিজ এলাকার নৈকাঠী গ্রামের প্রায় শতাধিক লোকের নামে মিথ্যা ওয়ারেন্ট তামিল করে হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

এছাড়াও তাঁর নামে রাজাপুর থানায় চারটি, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি ও ঢাকার মিরপুরে একটি মামলাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। আমি আব্দুস সত্তার সিকদার কর্তৃক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি পাওয়ার জন্য এবং তাঁর দুর্নীতির বিষয়ে ভ‚মি জড়িপ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি।

এ ব্যাপারে আব্দুস সত্তার সিকদার বলেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে সম্মানহানী করার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি চক্র। আমি রাজা মিয়ার কাছ থেকে কখনো উৎকোচ নেইনি।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন