প্রাইভেটকারে যাত্রী উঠিয়ে ছিনতাই, গ্রেফতার ৫


চক্রটির একাধিক সদস্য রাজধানীতে গণপরিবহনের চালক ও হেলপার। গত ২০ মে রাত সাড়ে ৯টা। রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা। সিসি কামেরার ফুটেজে পেছনে ব্যাগ বহনকারী এই ব্যক্তিকে দৌড়ে প্রাইভেটকারটির দিকে যেতে দেখা যায়। তার পেছন পেছন ছুটেন আরও দুজন।
ওই গাড়িতে চালকসহ আগে থেকেই ছিলেন আরও দুজন। আরিফুলকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মারধর করে টাকা পয়সা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ফেলে দেয়া হয় নির্জন এলাকায়। ভিকটিম আরিফুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাকে নির্জন এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে গলায় ছুরি ধরে নগদ টাকা ও বিকাশের পাসওয়ার্ড নিয়ে টাকাও নিয়ে যান। এবং ফোন নিয়েও যান।
এ ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ সন্ধান পায় একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের। গ্রেফতার করা হয় চক্রের দলনেতাসহ মোট পাঁচজনকে। রাজধানীর খিলক্ষেত, কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দর এলাকায় প্রাইভেটকার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে চক্রের প্রধান মানিক। যাত্রী হয়ে পেছনে বসে থাকেন আরেকজন।
চক্রের বাকি দুই সদস্য ভুলতা, গাউছিয়া, নরসিংদী কিংবা শেরপুর জামালপুর যাবেন এমন যাত্রী খুঁজতে থাকেন। কৌশলে যাত্রীকে তোলা হয় গাড়িতে। কিছু দূর অগ্রসর হওয়ার পর গলায় ইলেকট্রিক তার কিংবা গামছা পেচিয়ে ছিনিয়ে নেয়া হয় টাকা পয়সা। পুলিশ বলছে, চক্রটির একাধিক সদস্য রাজধানীতে গণপরিবহণের চালক ও হেলপার।
তিনভাগে ভাগ হয়ে তারা ছিনতাইয়ে নামেন। একটি গ্রুপ বিকেলে, আরেকটি রাত ৯ টা থেকে ১০ টায় অন্যটি গভীর রাতে। ডিবি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, তারা এ কাজগুলো প্রায়শই করে থাকেন। একেক সময় একে পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। যাত্রী হিসেবে তুলে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে একাধিক চক্র গ্রেফতার হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না তাদের তৎপরতা।
এইচকেআর
