ঢাকা শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

বেনাপোল থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর পর্যন্ত রেলের ডাবল লাইনের কাজ শুরু 

বেনাপোল থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর পর্যন্ত রেলের ডাবল লাইনের কাজ শুরু 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

করোনায় রেলপথে পণ্য আমদানি বানিজ্যের চাহিদা বেড়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। ফলে রেলকর্তৃপক্ষ অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে দ্রত। বেনাপোল রেল স্টেশন থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর পর্যন্তত রেলের ডাবল লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। 

রেলপথে আমদানির চাহিদা বাড়লেও বিট্রিশ আমলের তৈরী জরাজীর্ণ রেলপথে মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছিল দু’দেশের আমদানি বাণিজ্য।  ব্যবসায়ীরা বলছেন, রেলের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি কন্টিইনার টার্মিনাল স্থাপন। কন্টিইনার টার্মিনাল নির্মান হলে  ভারতের সাথে বাড়বে আমদানি বাণিজ্য। তেমনি বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে।

বন্দর সুত্র জানায়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে বাংলাদেশের ১২ টি বন্দর দিয়ে রেল ও স্থলপথে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে একমাত্র বেনাপোল বন্দর দিয়েই স্থল এবং রেলপথে আমদানি বাণিজ্য শতকরা ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়ে থাকে। সড়ক পথে আমদানি রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও রেলপথের তেমন একটা উন্ণয়ন হয়নি। স্বাধীনতার পর বন্ধ হয়ে যায় রেলের কার্যক্রম।

পরবর্তীতে ২০০০ সালে পুরানো অবকাঠামো রেখেই রেলে শুরু হয় আমদানি। বর্তমানে রেলের মাধ্যমে আমদানি হচ্ছে মোটর গাড়ি , মেশিনারী, গম, ভুট্টা, চাল, পিয়াজ সহ বিভিন্ন পন্য। 

বর্তমানে একটি কার্গো রেল বন্দরে প্রবেশ করলে জায়গার অভাবে আর একটি কার্গো রেল আসতে পারতো না বেনাপোল বন্দরে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীরা সরকারের বিভিন্ন মহলে তদবির করে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ শুরু হয়। আগামী তিন মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানান। 

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, চট্রগাম বন্দরের পর বেনাপোল বন্দরের অবস্থান। কদিন পর পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে। বেনাপোলে বন্দরে রেল পথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কন্টেইনার টার্মিনাল চালু হলে ভারতের সাথে আমদানি, রফতানি বানিজ্য দ্বিগুন হবে। রেলপথে সব ধরনের পন্য আমদানির সুযোগ থাকায় ব্যবসায়ীদের রেলপথে বেশি বেশি পণ্য আমদানির আহবান  জানানো হয়েছে।  বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক(ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে রেলপথে পন্য আমদানি অনেকটা নিরাপদ ও সাশ্রয়ী। উন্নয়ন কাজ শেষ হলে রেলপথে রফতানিও চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। 

যশোর রেল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী অলিউল হক জানান, প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বেনাপোল রেল স্টেশন থেকে পেট্রাপোল বন্দর পর্যšত দুই কিলোমিটার পুরানো ব্রডগেজ রেল লাইন সংস্কার ও বেনাপোল বন্দরের দুই পাশে পণ্যবাহী কার্গো রেল দাড়ানোর জন্য দুটি অতিরিক্ত রেল লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব উন্নয়ন কাজ শেষ হবে। 

বেনাপোল রেল স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, জরাজীর্ণ রেল পথে বাণিজ্য ব্যহত হওয়ায় সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। পর্যাপ্ত ইয়ার্ড না থাকায় একটি কার্গো রেল বন্দরে প্রবেশ করলে আর একটি ভারত থেকে ঢুকতে পারতো না। এতে সময় মত পণ্য পরিবহন ব্যহত হতো। উন্নয়ন কাজ শেষ হলে এপথে বাণিজ্য যেমন বাড়বে তেমনি রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।  চলতি অর্থবছরের মে মাসে বেনাপোল বন্দরের রেলপথে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৪৩ হাজার ৭৬৮ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। শুধু রেলের ভাড়া বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন