চরফ্যাশনে বদলে গেছে গ্রামের চিত্র

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটেছে।
স্থানীয় মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষা পূরণ করে সম্প্রতি পাটোয়ারী বাড়ি সংলগ্ন মোড় থেকে ডুবাই বাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা মেরামত করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় প্রায় ৩০০ পরিবার বসবাস করেন। বর্ষাকালে তাদের কাদা-ধুলার কারণে চলাচল ছিল প্রায় অসম্ভব। এখন সেই সমস্যা দূর হয়ে গ্রামের মানুষের জীবন হয়েছে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।
রাস্তা মেরামতের ফলে যোগাযোগ, কৃষি ও শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন গতি এসেছে। স্থানীয়রা আশাবাদী, ভবিষ্যতে এই কাঁচা রাস্তা পাকা হলে গ্রামীণ উন্নয়নের নতুন অধ্যায় শুরু হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম ভূলাই বলেন, আমরা এতদিন এই রাস্তায় চলাচলে হাটু পরিমাণ কাদায় কষ্ট পেতাম। বৃষ্টির সময় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোও দুঃস্বপ্ন ছিল। এখন রাস্তা হয়ে যাওয়ায় মনে হচ্ছে নতুন জীবন পেয়েছি।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া শুধু রাস্তা করেছেন না, মানুষের মনে আশা ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতো মানুষই সমাজের প্রকৃত সম্পদ।
যুবক আনোয়ার হোসেন বলেন,এই রাস্তাটা এখন আমাদের গ্রামের প্রাণ। ফসল বাজারে নিতে সহজ হচ্ছে, অসুস্থ মানুষকেও দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যায়। এটি শুধু রাস্তা নয় উন্নয়নের প্রতীক।
ছালাম জমাদারের স্ত্রী মিনারা বেগম করেন, বর্ষায় সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পর্যন্ত কাদা জমত, বাচ্চাদের নিয়ে বের হওয়া যেত না। এখন রাস্তাটি হওয়ার, বর্ষাতেও তেমন কষ্ট হবে না। আমরা সবাই খুব খুশি।
এডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, চরফ্যাশন উপজেলায় ৫০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় আসলামপুর, নুরাবাদ, আবুবকর পুর, আহাম্মদপুর রসুলপুরের সহ একাধিক ইউনিয়ন কাজের শেষ, এবং এই ২ কিলোমিটার ও অন্তর্ভুক্ত। মানুষের কল্যাণে কিছু করতে পারলেই সেটাই আমার প্রকৃত প্রাপ্তি। এই রাস্তা তৈরি হয়েছে মানুষের ভালোবাসা ও সহযোগিতায়।
এইচকেআর