আরেক দফায় বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম


সবজির চড়া দামের মধ্যে আরও বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও হুহু করে বাড়ছে দাম। দুই দিনের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের সঙ্গে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। অন্যদিকে বাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম আকাশচুম্বী। ৮০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। উচ্চমূল্যেই উঠানামা করছে মাছ ও ব্রয়লার মুরগির দাম।
দাম বেঁধে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও থেমে নেই মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোরা। ছুটির দিনে বাজারের ভিড়ের সঙ্গে বেড়ে যায় অস্থিরতা। ক্ষুব্ধ ক্রেতা নিজেই জানালেন কোন পণ্যের কতটা বাড়তি দাম।
দেড় মাস আগে আলু-পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। মূল্য কার্যকর তো দূরের কথা বরং হুহু করে বাড়ছে। দুই দিনের ব্যবধানে আরও ৫ টাকা বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। অন্যদিকে বাজারে শীতের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম আকাশচুম্বী। বাজারে একমাত্র পেঁপে ছাড়া ৮০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। মিলছে না ক্রেতার পকেটের হিসাবও।
আলু-পেঁয়াজ কিংবা সবজি, মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সদুত্তর নেই ব্যবসায়ীদের কাছে। এতদিন বৃষ্টির অজুহাত দেখালেও এখন বলছেন সরবরাহে সংকট ও বৃষ্টি পরবর্তী ক্ষেতের ফসল নষ্ট হওয়ায় বেড়েছে দাম।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে দেশি পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে।
দেশে আলুর বাজার আগে থেকেই চড়া। মাস দুয়েক ধরে আলুর দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকায় স্থির ছিল। তবে গতকাল আরেক দফা দাম বেড়ে আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। কোনো কোনো বাজারে ৬৫ টাকাও চাওয়া হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহের সংকটে আলুর দাম বেড়েছে।
এদিকে পাইকারি বাজারে চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০ টাকার মতো বেড়েছে। ফলে খুচরা বাজারে মোটা ও মাঝারি, এই দুই ধরনের চালে কেজিতে দুই টাকার মতো বেশি পড়ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চালের সরবরাহে বড় কোনো ঘাটতি নেই। চাল বিক্রেতারা বলেন, অনেক দিন চালের বাজারে নড়চড় ছিল না। তবে দ্রুতই বাজারে নতুন চাল আসবে। সুতরাং দাম আর খুব বেশি বাড়বে বলে মনে হয় না।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা বলছে, মোটা ও মাঝারি এই দুই ধরনের চালের দাম গত এক সপ্তাহে ২ শতাংশ বেড়েছে। তাতে প্রতি কেজি মোটা চাল এখন সর্বোচ্চ ৫২ টাকা ও মাঝারি মানের চাল ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সরু চালের দামে পরিবর্তন দেখা যায়নি।
এমএন
