‘অমি গ্রেফতার হবে জানলে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতাম’


ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনি কাণ্ডে আলোচনায় আসেন তুহিন সিদ্দিকী অমি। পরীমনির দায়ের করা মামলায় দুই নম্বর আসামি তিনি। এ ছাড়া এই নায়িকাকে ফাদেঁ ফেলতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্য একাধিক সূত্র জানায়, ক্লাব পাড়ায় অমিও একজন পরিচিত মুখ। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন একজন নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। অনেক বছর ধরে মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরে তিনি কাজ করে ঢাকার আশে পাশে জমি ক্রয় করেন। বর্তমানে তার অঢেল সম্পদ রয়েছে।
অমির বাবা তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেছেন, যদি আগে জানতাম অমিকে গ্রেফতার করা হবে, তা হলে আগেই তাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতাম।তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (সাহারা খাতুন) বেঁচে থাকলে কোনো চিন্তাই করতাম না। তিনি মারা যাওয়ার পর আমি অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছি।
ছেলে অমির সঙ্গে পরীমনির বন্ধুত্ব প্রসঙ্গে তোফাজ্জাল হোসেন বলেন, অমি ও পরীমনি ছিল স্কুলজীবনের বন্ধু। তার সঙ্গে কোনো পারিবারিক বা আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই।
তিনি জানান, অমির জন্ম ঢাকার আশকোনায়। সেখানেই বড় হয়েছেন। স্কুলজীবনে পরীমনির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। এরপর আর যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি জানতে পারেন পরীমনির করা মামলায় অমিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, অমির বাবা এলাকায় তোফা হাজী বা আদম ব্যবসায়ী তোফা নামেই বেশি পরিচিত। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার গুল্যা গ্রামে তার গ্রামের বাড়ি।
১৯৮৫ সালে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান তোফাজ্জল হোসেন। দেশে ফিরে আদম ব্যবসা শুরু করেন পেঙ্গুইন ট্রেনিং সেন্টারের মালিক মিজানের সঙ্গে। পরে এককভাবে তিনি আদম ব্যবসা শুরু করেন।
ঢাকার আশকোনা এবং দক্ষিণখানে গড়ে তোলেন দুটি ট্রেনিং সেন্টার। সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে লোক পাঠাতে শুরু করেন। ৭-৮ বছর আগে হজ করার পর ব্যবসার দায়িত্ব ছেলে তুহিন সিদ্দিকী অমির হাতে ছেড়ে দেন।
এমবি
