ঢাকা সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

Motobad news

সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী টিমকে মাঠে নামতে বলল ইসি

সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী টিমকে মাঠে নামতে বলল ইসি
ফাইল ছবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

নির্বাচনের তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী টিমকে ভোটের মাঠে নেমে যেতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে (পিএসও) এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এর আগের সেনা মোতায়েন জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল অনুরোধ জানালে রাষ্ট্রপতি এতে সম্মতি দেন।

পিএসওকে লেখা চিঠিতে আতিয়ার রহমান উল্লেখ করেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান করার নিমিত্ত নির্বাচন কমিশন সম্ভব সব আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে।

নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।

ভোটগ্রহণের আগে, দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার নিমিত্ত ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমগ্র বাংলাদেশের ৩শ’টি নির্বাচনী এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সহ) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হবে মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের কয়েকদিন আগ থেকে নির্বাচনী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার নিমিত্ত প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের একটি করে অগ্রবর্তী টিম পাঠানো যেতে পারে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনে বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে।

মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী কাজে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেভাবে সহায়তা করবে:

(ক) সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে।
(খ) রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।
(গ) সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে।
(ঘ) সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে এলাকাভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করা হবে।
(ঙ) ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা অবহিত করতে হবে।
(চ) বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে চাহিদামতো আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সেনা মোতায়েনের বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করা হবে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে পিএসও জানিয়েছিলেন, তারা ১৩ দিনের জন্য ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়েও অধিক সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হতে পারে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন