নেছারাবাদে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুল ছাত্রীকে গনধর্ষণ, গ্রেফতার ১


নেছারাবাদে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গনধর্ষণের অভিযোগে আল-আমীন শেখ ওরফে মুন্না (৩৫) এবং দবির শেখ ওরফে আকাশ (২৬) নামে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ দবির শেখ ওরফে আকাশকে গ্রেফতার করে রোববার সকালে আদালতের মাদ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এছাড়া অপর আসামি আল-আমীন শেখ ওরফে মুন্না পলাতক রয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার নাপিতখালি গ্রামে একটি মুরগীর ফার্মে এ ঘটনা ঘটে। আল-আমীন শেখ ওরফে মুন্না কোটালিপাড়া থানার রগুনাথপুর গ্রামের লুৎফর শেখের ছেলে। এছাড়া দবির শেখ ওরফে আকাশ একই থানার বানারঝর গ্রামের আনোয়ার শেখের ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ দবির শেখ ওরফে আকাশ নাপিতখালি গ্রামের রুবেল হোসেনের মুরগীর খামারে কাজ করত। সে সুবাধে পাশ্ববর্তী কামারকাঠি গ্রামের স্কুল ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে আকাশ।
মামলার অপর আসামি আল-আমীন শেখ ওরফে মুন্না প্রায় আকাশের কর্মস্থলে আসা যাওয়া করত। এ সুবাদে মুন্নাও কৌশলে মেয়েটির ফোন নম্বর সংগ্রহ করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে।
ঘটনার দিন মুন্না মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে আকাশের কর্মস্থল নাপিতখালিতে নিয়ে যায়। পরে দু'জনে মিলে ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাড়ীতে এসে পরিবারের কাছে জানালে তার মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে শনিবার দিবাগত রাতে মুন্না এবং আকাশকে আসামি করে থানায় গনধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমীন জানান, ঘটনাটি সত্য। আসলে মেয়েটি খুবই সরল। তাকে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুন্না এবং আকাশ মিলে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
নেছারাবাদ থানার ওসি তদন্ত এইচএম শাহীন জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মুন্না এবং আকাশকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামি দবির শেখ ওরফে আকাশকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
এইচকেআর
