ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news

মঠবাড়িয়ায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীকে সমর্থন না দেয়ায় চেয়ারম্যানের ওপর হামলা

মঠবাড়িয়ায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীকে সমর্থন না দেয়ায় চেয়ারম্যানের ওপর হামলা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বায়জিদ আহম্মেদ খানকে সমর্থন না দেয়ায় দাউদখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক রাহাত খান ও তার ছেলেসহ পাঁচজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দাউদখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এ অভিযোগ করেন। এসময় ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা-কর্মী ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুল ইসলাম খান বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বায়জিদ আহম্মেদ খান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে এলাকায় গণসংযোগ করছেন। 

গত ২৯ জানুয়ারি বায়জিদ আহম্মেদ খান তার সমর্থকরা দাউদখালী ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক রাহাত খানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে নির্বাচনে সমর্থন দাবি করেন। তিনি সমর্থন দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে বায়জিদ আহম্মেদ ক্ষিপ্ত হয়ে বের হয়ে যান। 

এর জের ধরে গত ৪ ফেব্রুয়ারী রোববার সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান রাহাত খান সদর থেকে নিজের প্রাইভেট কারে গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে তেঁতুলতলা নামক স্থানে বায়জিদ আহম্মেদ তার সমর্থকদের নিয়ে পথরোধ করে। 

এসময়  ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত চলে যায়। চেয়ারম্যানকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে গাড়ি চালক গাড়িটি গ্যারেজের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। 

এসময় বায়জিদ আহম্মেদ ও তার অর্ধশত কর্মী সমর্থক লাঠিসোঠা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্থানীয় দধিভাঙা সেতুর কাছে গাড়ি চালক মনিরুজ্জামানের ওপর হামলা চালায় এবং সায়েম হোসেন নামে এক কর্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। 

এসময় গাড়ি চালকের ডাক চিৎকার শুনে ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলেসহ স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাদের মারধর করে আহত করে। আহত সায়েমকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

দাউদখালী ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক রাহাত অভিযোগ করেন,  সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বায়জিদ আহম্মেদ খানকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। উল্টো হামলাকারিদের পক্ষ হতে একটি সাজানো পাল্টা মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায়  দাউদখালী ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক রাহাত বাদি হয়ে ১৯ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

অপরদিকে স্থানীয় টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার ৭ জনকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছেন। দুইটি মামলাই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন