আগৈলঝাড়ায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি


বরিশালের আগৈলঝাড়ায় হঠাৎ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গত ৪দিনে ১৬ জন রোগী ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও আউডডোরে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। কখনও ঠান্ডা আবার কখনও গরম।
এছাড়াও আউডডোরে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত চার দিনে উপজেলার রাংতা গ্রামের হানিফ আকনের স্ত্রী বেবী বেগম (৩০), পূর্ব সুজনকাঠি গ্রামের খোকন মোল্লার ৯মাসের মেয়ে আয়শা আক্তার, একই গ্রামের ফরহাদ মোল্লার দেড় বছরের ছেলে ফারহান, পাশ্ববর্তী উপজেলার সাতলা গ্রামের মিলন হাওলাদারের ৯মাসের ছেলে তাজিম, ধানডোবা গ্রামের হরিদাস বাড়ৈর স্ত্রী শোভা বাড়ৈ (৪৫), চেঙ্গুটিয়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের স্ত্রী আফিয়া আক্তার (২৭), রাজিহার গ্রামের হারুন হাওলাদারের স্ত্রী সাথী বেগম (৫৫), ফুলশ্রী গ্রামের রুবেল সরদারের ১০ মাসের ছেলে আয়ান ইসলাম, আমবাড়ি গ্রামের সুশান্ত সরকারের ছেলে দৃশ্য সরকার, বাশাইল গ্রামের সঞ্জয় রায়ের ৭মাসের ছেলে সার্থক রায়, আস্কর গ্রামের জগদীশ সাহার ১৭ মাসের ছেলে জয় সাহা, কাঠিরা গ্রামের কিরন হালদারের স্ত্রী শিখা হালদার (৪৫), বড় বাসাইল গ্রামের সঞ্জয় ঢালীর ৭মাসের ছেলে সার্থক ঢালী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
এছাড়া নিয়োমনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চেঙ্গুটিয়া গ্রামের জহিরুল ইসলামের ৪মাসের মেয়ে মীম আক্তার, সাতলা গ্রামের মনিরুজ্জামান বালীর ২বছরের ছেলে সাজিদ বালী, পিরেরপাড় গ্রামের মাধব মহুরীর আড়াই বছরের ছেলে দুরন্ত মহুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও আউডডোরে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন বলেন, ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রতিবছর এ সময়টাতে আলাদা প্রস্তুতি থাকে স্বাস্থ্য বিভাগের। তবে বর্তমান সময়ে বিগত দিনের থেকে আক্রান্তের সংখ্যাটা একটু বেশিই। চলতি মাসের শুর” থেকে করোনার পাশাপাশি ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এ থেকে রোধ পেতে হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
বিশেষ করে সবাইকে নিরাপদ খাবার গ্রহণ ও বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর জন্য সব ধরনের ঔষধ ও স্যালাইন পর্যাপ্ত পরিমানে সরবরাহ রয়েছে। যার কারনে রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির সাথে সাথেই সব ধরনের ঔষধ পাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য বিশেষ করে দিনে গরম, রাতে শীত এবং নিরাপদ খাবার গ্রহন না করার কারণেই ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই সময়ে সকলকে সচেতন থাকারও পরামর্শ প্রদান করেন। ডায়রিয়া রোধে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তিনি বলেন, সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে ডায়রিয়া রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
এইচকেআর
