দৌলতখান উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তোড়জোড়


ভোলার দৌলতখান উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। তফসিল ঘোষণার আগেই আটঘাট বেঁধে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীরা। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এমনকি পাড়া মহল্লায়ও শুভেচ্ছা জানিয়ে রং-বেরঙের বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন সাঁটানো হয়েছে।
গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। রমজানে ইফতার ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সাধারণ ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন তাঁরা । দু'হাতে দান করছেন মসজিদ, মাদ্রাসায়। সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণায় উপজেলার সর্বত্র নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। এরই মধ্যে প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন দ্বিতীয় ধাপে দৌলতখান উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
ভোট সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন । তারা হচ্ছেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনজুর আলম খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আনিসুর রহমান বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জাহাঙ্গীর, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা ইয়াছিন লিটন।
ভোটাররা মনে করছেন, দলীয় প্রতীক না থাকায় এবারের নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে আগামী নির্বাচনে চমক দেখাতে পারে রাজনীতিতে নতুন মুখ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আনিসুর রহমান বাবুল। তাকেই আগামী উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রাখতে চাইছেন অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষক মহল। সাধারণ ভোটাররাও নানা হিসাব- নিকাশ কষছেন। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিসুর রহমান বাবুল বলেন, সবসময় সাধারণ মানুষের বিপদে পাশে ছিলাম।
মানুষের ইচ্ছায় নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই। আমি ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আধুনিক ও স্মার্ট দৌলতখান উপজেলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করে যাবো। উল্লেখ্য, একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে দৌলতখান উপজেলা গঠিত। উপজেলার মোট ভোটার এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার।
এইচকেআর
