গৌরনদীতে দুইজন নিহতর ঘটনায় দু’শত জনের বিরুদ্ধে মামলা


বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে পৃথক বোমা হামলায় দুইজন নিহত এবং অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দুপুরে দু’ শাতাধিক ব্যক্তির নামে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসময় পরাজিত মোরগ মার্কার প্রার্থী আরজ আলী সরদারের সমর্থকরা ওই আনন্দ মিছিলে বোমা হামলা চালায়। এ সময় বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক খাঞ্জাপুর গ্রামের আনজু ফকিরের পুত্র আবু বক্কর ফকিরকে (২৫) গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৌজালী মৃধাকে (৬৫) মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আরো তিনজন গুরুত্বর আহত হয়।
অপরদিকে একইদিন দুপুর বারোটার দিকে ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই মেম্বর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের সময় বোমা হামলা ঘটনাস্থলেই মোরগ মার্কার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ফিরোজ মৃধার সমর্থক কমলাপুর গ্রামের মৃত কাদের মৃধার পুত্র মৌজে আলী মৃধা নিহত ও অন্তত ৩ জন আহত হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান জানান, আবু বক্কর ফকির নিহতর ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে তার পিতা আনজু ফকির বাদি হয়ে পরাজিত মেম্বর প্রার্থী আরজ আলী সরদার, তার পুত্র রাব্বী সরদার ও বাবু সরদারসহ ২০ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৮০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরকসহ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, এ ছাড়া সোমবার রাতে মৌজে আলী মৃধা নিহতর ঘটনায় সোমবার রাতে তার তার পুত্র নজরুল ইসলাম মৃধা বাদি হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করে একই ধারায় মামলা দায়ের করেন। সোমবার রাতেই ৯ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ফিরোজ মৃধা, ইমন হোসেন ও নয়ন মৃধাকে গ্রেপ্তার করা হয় । গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় । এসময় বিচারক তাদের জামিন না মন্জুর করে কারগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন জানান ওসি তদন্ত ।
এইচকেআর
