ঢাকা বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • সহিংসতা মুক্ত রাজনৈতিক বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এখনও তা দেখতে পারছি না- নাহিদ ইসলাম  পবিত্র কাবার ঠিক উপরে বিরল মহাজাগতিক ঘটনা, মুসলিমরা পেলেন সুস্পষ্ট নির্দেশনা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীরা মাল্টিপল ভিসা পাবেন বিরল ম্যাচে ভুটানকে সহজে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা মাইডাস ফাইন্যান্স পিএলসি’র পরিচালক পদে নিয়োগ পেলেন বরিশালের সন্তান কামরুজ্জামান খান মাসুম অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চার উন্নয়ন জাতীয় পর্যায়ে সম্মেলন ১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বাস-ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষ ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে ‘ফেল’ নতুন নিবন্ধন চাওয়া ১৪৪টি দল
  • ভোটের হার কম হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: ইসি আলমগীর

    ভোটের হার কম হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: ইসি আলমগীর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ভোটের হার বেশি হলে আমরা খুশি। কিন্তু না হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই।

    সোমবার (২০ মে) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে নির্বাচন হবে ২৯ মে ও ৫ জুন।

    প্রথম ধাপে ভোট শান্তিপূর্ণ হলে ভোট পড়ার হার ছিল ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে। ভোটাররাও আগের নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবে।

    ধান কাটা তো শেষ এখনো কি ভোট কম পড়বে বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে বলছেন বিষয়টাতো এ রকম নয়। আরও তো কারণ আছে। ভারতের যে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে সব দলগুলো অংশ নিয়েছে। তারপরও ৬০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। আমাদের যে প্রথম ধাপের নির্বাচন হলো ওইদিন সকালে বৃষ্টি ছিল, ধান কাটা ছিল, একটি বদ দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এই তিনটা কারণ তো আছেই। এছাড়াও আরও অন্যান্য কারণ আছে হয়তো, সেগুলো হয়তো আমরা জানি না। আবার স্থানীয় নির্বাচনে অনেকেই কর্মস্থল থেকে এসে ভোট দিতে চান না। এটাও একটা কারণ।

    ভোটের হার দিন দিন নিচে নামছে, এর দায় আপনারা দলগুলোর ওপর দিচ্ছেন, ইসির কোনো দায় আছে কি, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, আমাদের প্রথমেই দায় দিতে হবে ভারতের ওপর। কেননা, সেখানে সব দল অংশ নিচ্ছে, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা নিয়ে কোনো সমস্যা নাই, কোনো বিতর্কও নাই। কিন্তু সেখানে ৬০ শতাংশ ভোট পড়ছে। তাহলে এখানে কি নির্বাচন কমিশন দায়ী। সেটা আপনারা যদি বলতে পারেন ভারতের নির্বাচন কমিশন দায়ী, তাহলে আমরাও দায়ী। তাদের দায়ী না করলে আমরাও দায়ী না।

    তাদের গণতন্ত্র আর আমাদের গণতন্ত্র কি এক? এ বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, তাদের গণতন্ত্র, আমাদের গণতন্ত্র একই। সংবিধানও অনেকটা একই রকম। ভারতে যে কারণে ভোটের হার কমে যাচ্ছে আমাদের এখানেও একই কারণ। শুধু বাংলাদেশ নন সারা পৃথিবীতেই একই রকম। এটা কেন হচ্ছে তা গবেষণার বিষয়।

    সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ভোট পড়ার হার কম হওয়ার জন্য দায়ী কমিশনও না, অন্য কেউও না। কারণ হলো যে বিভিন্ন কারণে ভোটাররন ভোট দিতে চান না।

    দ্বিতীয় নির্বাচনে কেমন কাস্টিং হতে পারে?  জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২১ মে কেমন আবহাওয়া থাকবে, প্রার্থীর জনপ্রিয়তা কেমন এসবের ওপর নির্ভর করবে। ভোটের হার বেশি হলে আমরা খুশি, কিন্তু নাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।  

    ওই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা সবটাতেই সন্তুষ্ট। কেননা, ভোটের হার টার্গেট করা নেই। ফ্রান্সের নির্বাচনে যেমন বলা আছে এত শতাংশ ভোট না পড়লে আবার নির্বাচন হবে। তুরস্কে আছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে এর কম। তাদের সংবিধানে যেটা বলে দিয়েছে যে এত শতাংশ ভোট পড়তে হবে, সেটা না হলে ফের নির্বাচন হবে৷ আমাদের এ রকম আইন নেই। তাই যে হার হলেই আমরা খুশি।

    ভোটের হার বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ইসির কাজ না। অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে যারা স্থানীয় সরকার নিয়ে কাজ করে, তারা গবেষণা করে প্রতিবেদন সরকারের কাছে দেবে। আমাদের গবেষণা করার দক্ষতা বা সক্ষমতা নেই। আমরা গবেষণা করলে সেই গবেষণা তো আপনারা বিশ্বাস করবেন না। গবেষণা করতে হবে তৃতীয় পক্ষ থেকে।
     


    এইচকেআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ