ঝালকাঠি জেলায় ক্ষতির পরিমাণ ১১৫ কোটি ৩৪ লাখ ৭০০ টাকা


ঝালকাঠি জেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ১১৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে ক্ষয়ক্ষতির এ বিবরণ তৈরি করে। মঙ্গলবার ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ঝালকাঠি জেলার চারটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভার ওপর দিয়ে তান্ডব চালানো ঘূণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস বিগত দিনের ঝড়ের তুলনায় দীর্ঘ সময় ধরে প্রায় ২৮ ঘন্টা চলে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে।
জেলায় ৩৯ হাজার ৭৩৭টি পাকা, আধাপাকা ও কাচা ঘরবাড়ি ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতির পরিমাণ ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। কৃষি ক্ষেত্রে ২৯১.৫ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ৯৩৭ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৩৬টি মসজিদের মধ্যে ১০টি সম্পূর্ণ ও অবশিষ্ট ২২৬টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলায় ৪৩টি মন্দিরের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ ও ৪০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার পাকা, আধাপাকা ও কাচা সড়ক ৩.৯৮ কিলোমিটার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ও আংশিক ২১১.২৩ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৫৫টি ব্রীজ আংশিক ও ৫৫২টি কালবার্ট আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২.৫০ কিলোমিটার বাঁধ সম্পূর্ণ ও ১১.৫০ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৪ হেক্টরের বনাঞ্চল আংশিক, ২৮.৪ হেক্টর বনায়ন ও ৬৯ হেক্টর নার্সারী সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলায় ১৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৬০টি মাদরাসা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনটি অকৃর্ষিভিত্তিক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ৩০টি নলকূপ সম্পূর্ণ ও ৪৪০টি গভীর এবং ১০টি অগভীর নলকূপ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামীন জনপদে ৩৫০টি স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা সম্পূর্ণ ও ১০ হাজার ১৯২টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মৎসক্ষেত্রে ৫ হাজার ১৫০টি পুকুর ও ৯০টি জলাশায়ের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া মৎস্য আহরণের ১২৩টি নৌকা সম্পূর্ণ ও ২৯৯টি নৌকা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১২টি ট্রলার সম্পূর্ণ ও ২৮টি ট্রলার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলেদের ৮০ মিটার জাল সম্পূর্ণ ও ৯৭ মিটার জাল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১১৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো আমরা মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে কোন বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এইচকেআর
