হাতের নাগালেই বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ
দেশে হৃদরোগ ও স্ট্রোকসহ বিভিন্ন মারাত্মক অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি সৃষ্টিকারী উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশই ঘটছে অসংক্রামক রোগের কারণে।
সংকট মোকাবেলায় সরকার এরই মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদানের কাজ শুরু করেছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে টেকসই অর্থায়ন একটি বড় বাধা।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপি ‘উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করণীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য এবং সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
গ্লোবাল হেলথ্ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা)। কর্মশালায় বরিশাল বিভাগে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার ২৫জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ অন্যতম। বর্তমানে প্রতি চারজন প্রাপ্ত বয়স্কের মধ্যে একজন এ রোগে ভুগছেন। তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার পাশাপাশি এখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলে এটি অসংক্রামক রোগ ও অকালমৃত্যু কমিয়ে আনতে ব্যয়-সাশ্রয়ী পদক্ষেপ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। গবেষণা অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপের পরীক্ষা ও ওষুধের পিছনে ১ টাকা ব্যয় করলে সামগ্রিকভাবে ১৮ টাকার সুফল পাওয়া সম্ভব।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র পরিচালক মো. শাহেদুল আলম এবং কো-অর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।
এইচকেআর