মঠবাড়িয়ায় ৫৮৮ গ্রাহকের ১৬ কোটি টাকা নিয়ে উধাও নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট
৪ বছরে দ্বিগুণ টাকা ফেরৎ দেয়ার লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দিয়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ৫৮৮ গ্রাহকের ১৬ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্ত হয়ে গেছে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
অধিক মুনফার আশায় শেষ সম্বল ও জমানো টাকা এ প্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে নিঃশ্ব হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন গ্রাহক। ভুক্তভোগীরা অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক রিসিভার নিয়োগ করে ওই টাকা ফেরৎ পাওয়ার দাবিতে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে মঠবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করেন।
নিউ বসুন্ধরা মঠবাড়িয়া শাখার ফিল্ড অফিসার ও ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল মুন্সি লিখিত বক্তব্যে বলেন, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড কোরআন ও হাদিসের কথা বলে এবং কিছু সংখ্যক স্বনামধন্য ওলামা ও গণমান্য ব্যক্তিকে সামনের রেখে লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ মুনাফা প্রদান, বাগেরহাটের হাজী রিয়াজ উদ্দিন মার্কেট, খুলনার এজাক্স জুটমিল ক্রয় এবং উদ্বোধন দেখিয়ে মঠবাড়িয়া অঞ্চলের ৫৮৮ জন নিরীহ গ্রাহকদের নিকট হতে প্রায় ১৬ cকোটি টাকা বিনিয়োগ নেয়।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়সহ সকল শাখা অফিসের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ করে দেয়। পরে আমাদের একটি দল বাগেরহাটের হেড অফিসে এমডি আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা মৌখিক ভাবে একধিকবার টাকা ফেরৎ দেয়ার আশ্বাস দিলেও দেয়নি।
বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় কোম্পানীর এমডি আব্দুল মান্নান তালুকদার কারাগারে রয়েছেন। আমাদের মূলধন হারানোর শঙ্কায় এখন দিশেহারা। গত ২৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আইন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নিউ বসুন্ধরার ফিল্ড অফিসার ভুক্তভোগী মো. মহিবুল্লাহ ও মো. রেজাউল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কোম্পানীর এমডি আব্দুল মান্নান তালুকদারের ছেলে মিজানুর রহমানে মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেন নি।
এইচকেআর