ঢাকা শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

Motobad news

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আরও আলোচনা হবে, কমিটিও করা হতে পারে

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আরও আলোচনা হবে, কমিটিও করা হতে পারে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তাঁদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ছবি: পিআইডি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে আরও আলোচনা হবে। কাজটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য কমিটিও গঠন করা হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত একটি কর্মকৌশল ঠিক করা হবে। এই ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বিষয়টি নিয়ে সরকারের এই অবস্থান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, গণতন্ত্র মঞ্চ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

বৈঠকের আলোচনা নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। সবাই বলেছেন, এ ধরনের একটা ঘোষণাপত্র করার দরকার আছে। তবে এখানে অনেক সাজেশন (পরামর্শ) এসেছে। মোটাদাগে হলো ঘোষণাপত্রে সবার অবদান বলতে হবে, ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে। ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক বা আইনি প্রকৃতি কী হবে, সেটা স্পষ্ট করতে হবে।

আরও বেশি আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তি ও ছাত্র-জনতা সবার মধ্যে আলোচনা করে সর্বসম্মতভাবে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘এটার জন্য যতটা সময় লাগা প্রয়োজন, ততটা সময় নেওয়া যেতে পারে। তবে অযথা কালবিলম্ব বা সময়ক্ষেপণ যেন না হয়। সবাই একমত পোষণ করেছে, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরও নিবিড় আলোচনার মাধ্যমে এ ধরনের ঘোষণাপত্র হওয়া উচিত।

সবাই এই প্রক্রিয়ায় সফল হওয়ার আশাবাদ জানিয়েছেন উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সবাই একত্রে যেভাবে ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি, তেমনি সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঘোষণাপত্র তৈরি করতে পারব।’

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটা নিয়ে আরও বিভিন্ন রকম আলোচনা হতে পারে, কমিটি হতে পারে, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হতে পারে। সে বিষয়গুলো সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে তাদের (রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ) পরামর্শের ভিত্তিতে আমরা খুব দ্রুত একটা কর্মকৌশল ঠিক করব।’

ঘোষণাপত্র প্রকাশের সময়সীমা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল ও শিক্ষার্থীদের সংগঠনের যাঁরা অংশ নিয়েছেন, সবাই সর্বসম্মতিক্রমে একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করার কথা বলেছেন। যত সময় লাগুক, তা যেন নেওয়া হয়। তাড়াহুড়া যেন না করা হয়, আবার অযথা কালক্ষেপণ যেন না করা হয়। এই লক্ষ্যে অনেকে প্রস্তাব করেছেন আলোচনা করার জন্য যেন একটি কমিটি গঠন করা হয়। আমরা এই প্রস্তাবগুলো দ্রুত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’


ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনোরকম দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি। শুধু কী পদ্ধতিতে এটা করা হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকম মতামত এসেছে। সব মতামতকে আমরা স্বাগত জানাই। কোথাও আমরা অনৈক্যর সুর দেখি না, বরং সবাই বলেছেন এই ঘোষণাপত্রে যেন সবার মালিকানা থাকে।’


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন