কাউখালীতে ৫০ শয্যার হাসপাতাল পুনর্নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন


পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নির্মাণ কাজ পূণরায় চালুর দাবীতে মানুষের ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের ব্যানারে উপজেলা হাসপাতাল সড়কের সামনে বুধবার সকাল ১০টায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, কাউখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস,এম আহসান কবীর, পিরোজপুর জেলা জামায়তের সহ সভাপতি মাওলানার ছিদ্দিকুল ইসলাম, উপজেলা ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সভাপতি মাওলানার আলী হোসেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউল হাসান নিক্সন, বদরুদ্দোজা মিয়া, যুবনেতা আসাদুজ্জামান মামুন, কাসেমী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কাউখালী হাসপাতালের নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরু না হলে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কঠোর সূচি দিতে বাধ্য হব।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় মূল ভবন ও দুইটি আবাসিক ভবনের জন্য পাঁচ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহবান করা হলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানকের ভাই নাসির উদ্দিন লিটু ক্ষমতার অপব্যহার করে নূরিয়া এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজটি হাতিয়ে নেয়। ওই বছর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ২০ শতাংশ কাজ করে ফেলে রেখে বিল নিয়ে চলে যায়।
সিডিউল অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না করায় ২০১৪ সালের ২৫ জুন ওই ঠিকাদারের দরপত্রের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। এবং ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল দুদক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিন প্রকৌশলী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মালিকের নামে মামলা করেন।
২০২২ সালের ২৪ জুলাই কহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৫ কোটি ১১ লাখ টাকার কার্যাদেশ পেয়েও ১ বছরের মধ্যে ভবনের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তারা কাজ শেষ না করে পালিয়ে গেলে উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মামলা করে।
মামলা এবং ঠিকাদারের গাফিলতিতে কাউখালী উপজেলার দেড় লাখ মানুষের সেবা দেওয়ার একমাত্র হাসপাতালটিতে কোন ভবন না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।
বর্তমানে স্থানীয় জনসাধারণ ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে টিনসেড বিল্ডিং এ চিবিৎসা সেবা দিচ্ছে। তাও মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় টর্নেডোতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
এইচকেআর
