কোটিপতি জামায়াত আমির, আছে ডুপ্লেক্স বাড়ি-নগদ ৬০ লাখ টাকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হাতে নগদ ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা আছে। এছাড়া এক লাখ টাকা মূল্যের ১০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। পাশাপাশি ১১ দশমিক ৭৭ শতক জমির ওপর তার নিজের নামে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে, যার মূল্য ২৭ লাখ টাকা।
একই সঙ্গে তিনি পেশা হিসেবে চিকিৎসা উল্লেখ করেছেন। তার যে সম্পদ আছে বর্তমানে তার আনুমানিক মূল্য এক কোটি ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬৪০ টাকা।
নির্বাচনি হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ঢাকা-১৫ আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম জামায়াত আমিরের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামাও জমা দেন জামায়াতের শীর্ষ নেতা।
ডা. শফিকুর রহমান তার নির্বাচনি হলফনামায় উল্লেখ করেন, তিনি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করেননি। তার নামে ২ একর ১৭ শতক কৃষিজমি আছে, যার আনুমানিক মূল্য ১৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা। বর্তমানে তার কাছে ৪৭ লাখ ২৫ হাজার ৮৩৪ টাকার সম্পদ আছে। কৃষিখাত থেকে তিনি বছরে তিন লাখ টাকা আয় করেন।
বন্ড ঋণপত্র স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়- এমন কোম্পানির শেয়ার আছে ২৭ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০ টাকার। তার নিজের দুই লাখ টাকার ইলেকট্রিক পণ্য আছে। এছাড়া সাড়ে চার লাখ টাকা মূল্যের যানবাহনসহ দুই লাখ ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ (যদি একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে, তবে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের নাম, নম্বর এবং ব্যাংকের নাম পৃথক কাগজে উল্লেখ করুন) হিসাবে ৪ লাখ ৯০ হাজার ২৬৩ টাকা দেখিয়েছেন।
জামায়াতের শীর্ষ নেতা হলফনামায় উল্লেখ করেন, আমি একক বা যৌথভাবে বা আমার পিতা, মাতা, স্ত্রী, সন্তান বা আমার ওপর নির্ভরশীল কোনো সদস্য অথবা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে আমি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করিনি।
আয়কর সংক্রান্ত তথ্য
২০২৫-২৬ অর্থবছরে আয়কর রিটার্নে দেখানো সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৪ টাকা উল্লেখ করেছেন। বছরে আয়কর রিটার্নে দেখানো আয়ের পরিমাণ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রদত্ত আয় করের পরিমাণ ৩০ হাজার টাকা।
হলফনামা দেখা গেছে, জামায়াত আমিরের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এম বি বি এস, পেশা চিকিৎসক। তিনি হলফনামায় মোট ৩৪টি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন। দুটি মামলা হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিত আছে। বাকি ৩২টি মামলার সবগুলো থেকে প্রত্যাহার ও খালাস পেয়েছেন তিনি। তিনি কখনই ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হননি বলে উল্লেখ করেছেন।
এইচকেআর