বিপাকে দৌলতখানের স্বল্প আয়ের মানুষ


করোনার প্রথম ঢেউয়ের প্রকোপ কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আবার শুরু হয়েছে আরেকটি ঢেউ। সেটি সামাল দিতে গত এপ্রিল থেকে বিধি-নিষেধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সরকার কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংক্রমণ রোধে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক লকডাউনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হতে পারবে না।
হাজিপুর চরের বাসিন্দা দুধ বিক্রেতা আব্দুল মালেক জানান, ‘প্রতিদিন চর থেকে দৌলতখানে দুধ এনে বিক্রি করি। লকডাউনের কারণে চরম দুশ্চিন্তায় আছি। সময় মত বিক্রি করতে না পারলে দুধ নষ্ট হয়ে যায়। এদিকে চরশুভী গ্রামের কৃষক র”হল আমিন জানান, তার খেতের ফসল বিক্রি করে সংসারে চালান । এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষতি এখনও পুসিয়ে উঠতে পারেনি তার উপর লকডাউন। তিনিও দুশ্চিন্তায় আছেন। জেলে ভুট্টু জানান, নদীতে ভরা মৌসুমেও ইলিশ নেই ।
সামান্য কিছু বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বাজারে বিক্রি করে সংসার চালান । এবার লকডাউনে তারও চোখে মুখে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। এদিকে দৌলতখানে লকডাউনে বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থান নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। লকডাউনে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তারেক হাওলাদারের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আইন অমান্য করলে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে জরিমানার আওতায় আনা হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অংশ নেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) মহুয়া আফরোজ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) তারেক হাওলাদার জানান, ‘লকডাউনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। সরকারের বিধিনিষেধ কঠোরভাবেই কার্যকর করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দৌলতখানের বিভিন্ন হাট-বাজারসহ পাড়া-মহল্লায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে । প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লকডাউন সফল করতে খুব তৎপর রয়েছে। তবে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এইচকেআর
