গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিভাগে বেড়েছে আক্রান্ত, কমেছে মৃত্যু


বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বেড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে গত কয়েকদিনের তুলনায় কমেছে মৃতের সংখ্যা। এ সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ৩৪৩ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আরটি-পিসিআর ল্যাবে আক্রান্ত বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রমণ তথ্যে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে বরিশাল জেলায়, ১২১ জন। এ পর্যন্ত এ জেলায় আক্রান্ত বিবেচনায় শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ১৯৫ জন। মোট মারা গেছে ১৩০ জন। সুস্থ হয়েছে ৬ হাজার ৫৪২ জন।
পটুয়াখালী জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ২৭ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৫৪০ জনের। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫৭ জন। সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৩১৮ জন।
ভোলা জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ১৫ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৮৭ জন। মারা গেছে ২৬ জন। সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৯৯৭ জন।
পিরোজপুর জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৮২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৪১৬ জনের। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৮ জন। সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬৮৬ জন।
বরগুনা জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ২২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ১ হাজার ৪৯২ জনের। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩০ জন। সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ২৭৩ জন।
ঝালকাঠি জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৭৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ১ হাজার ৯০৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৪ জন। সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ জন।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জে. খান স্বপন জানান, বিগত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশনে ৩৮ জন ভর্তি হন। এরমধ্যে উপসর্গ নিয়ে দুইজন এবং করোনা ওয়ার্ডে আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ২১০ জন চিকিৎসাধীন রোগী রয়েছে। যারমধ্যে ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ, ১৬৫ জন আইসোলেমনে চিকিৎসাধীন। ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮ জনের নমুনা আরটি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করানো হয়েছে। এরমধ্যে ৫৯ দশমিক ০৪ শতাংশের করোনা পজিটিভ এসেছে।
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ২০২০ সালের ৯ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সেই থেকে রোববার (৪ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগের ৬ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৬৩৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩১৫ জন। সুস্থ হয়েছে ১৫ হাজার ১৮১ জন।
এইচকেআর
