টিকটক হৃদয়ের সহযোগী হিরো অনিক লকডাউনে ইয়াবা ডেলিভারি দিতেন


রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার টিকটক হৃদয়ের অন্যতম সহযোগী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিক ‘লকডাউন’কে পুঁজি করে ইয়াবা হোম ডেলিভারি করে আসছিলেন। হাতিরঝিল এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে হিরো অনিককে তার সহযোগীরা ইয়াবা হোম ডেলিভারি করতে সহায়তা করতেন।
আজ সোমবার (৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এর আগে, সোমবার (৫ জুলাই) হাতিরঝিল এলাকা থেকে টিকটক হৃদয় বাবুর অন্যতম সহযোগী ও মগবাজারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিকসহ পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাব-৩। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, পাঁচটি ধারালো অস্ত্র, একটি চেইন, ৩০০ পিস ইয়াবা, সাতটি মোবাইলফোন ও নগদ ৩ হাজার ৪০০ টাকা জব্দ করা হয়।
আটক বাকি আসামিরা হলেন- মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে এ্যাম্পুল (৩৪), আবির আহমেদ রাকিব (২২), মো. সোহাগ হোসেন আরিফ (৩৬) ও হিরা (২২)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হিরো অনিক ইয়াবার কারবার করতেন। এছাড়াও তিনি সহযোগীদের নিয়ে হাতিরঝিলে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে তারা বিভিন্ন অপরাধের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ভারতের কেরালায় নারী পাচারের ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া টিকটক হৃদয় ওরফে বাবুর সঙ্গেও হিরো অনিকের সখ্যতা ছিল। হৃদয়কে বিভিন্ন সময় তিনি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সহযোগিতা করতেন। এছাড়াও হৃদয়কে তিনি ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সরবরাহ করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
র্যাবের এ কর্মকর্তার দাবি, হিরো অনিক রাজধানীর মগবাজার, হাতিরঝিল ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার নামে নয়টি মামলা রয়েছে। তার একটি গ্রুপ রয়েছে, যেখানে ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছেন। হিরো অনিকের সহযোগীদের কারও কোনও পেশা নেই। তারা হিরো অনিকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতেন। শহিদুল ওরফে অ্যাম্পুলের নামে মাদক ও চুরির ছয়টি মামলা, আবিরে বিরুদ্ধে দুটি মামলা, সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু অপহরণ, মাদক ও ডাকাতির তিনটি মামলা, এবং হিরার বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত ও চুরির একটি মামলা রয়েছে।
এমবি
