অসহায় মানুষকে খাবার দিচ্ছে তরুণ উদ্যোক্তারা

বরিশালে লকডাউনে বিপর্যস্ত অসহায়, দরিদ্র মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করছে ২০টির অধিক অনলাইনে ভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনাকারী তরুণ উদ্যোক্তা। তারা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে খাবার বিতরণ করছেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী গাজী হাদিউজ্জামানের অনলাইন বিজনেস প্রতিষ্ঠান 'বিখ্যাত পণ্য সম্ভার' এর আয়োজনে এই ২০টির অধিক অনলাইন প্রতিষ্ঠান খাবার বিতরণ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়েছে।
লকডাউনের কারণে সকল হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় রোগীর সাথে আসা স্বজনেরা খাদ্যভাবে ভুগছিলেন। লকডাউনে অসহায় মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া অনলাইন ভিত্তিক সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হল, আসমা কুকিং অ্যান্ড বেইকিং, মুনিয়ার রান্নাঘর, ট্রিট বিট কিচেন, টুনটুনির খামার বাড়ি, বরিশাল হাউস, বরিশাল কিচেন হাউস, ঘরোয়া কিচেন, মুনাজা ফ্যাশন গ্যালারি, শারমিন কিচেন, লন্ডি ঘর, পুষ্প কুঞ্জ,টি লাভারস ট্রিট, যুথিস কিচেন, রশ্মির রসূইঘর, একে ফ্যাশন হাউজ, রূপে লক্ষি,অটোনিইউ, নকশী কন্যা, স্টাইলিস সপিং জোন, এলুরিং ডোর, তুশা সপারস, ডেইজিস কিচেন ,স্মার্ট উইথ হিজাবী,কাশফুল ফ্যাশন, রূচি, প্রিমিয়াম মাল্টি কালেকশন।
খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমের একজন স্বেচ্ছাসেবক আলামিন জানান, লকডাউনের কারনে শহরের অসহায়-দরিদ্র মানুষ এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা চরম বিপাকে পড়েছে। হোটেল বন্ধ থাকার কারণে অনেক খেটে খাওয়া মানুষকে না খেয়ে দিন কাটাতে হয়। তাই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা তাদের জন্য। সকলের সহযোগিতা পেলে যতদিন লকডাউন থাকবে আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
বিখ্যাত পণ্য সম্ভারের প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক গাজী হাদিউজ্জামান বলেন, আমরা প্রতিদিন প্রায় ১০০ জন সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করছি। আমাদের এই কাজের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত আছেন বরিশালের প্রায় ২০ জন তরুণ উদ্যোক্তা। যাদের কেউ আমাদের খাবার প্রস্তুত করে দিচ্ছেন আবার কেউ অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করছেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিল আফরোজ তানিয়া ম্যাম আমাদের সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছেন। সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে 'সবুজ বাংলা সোসাইটি' এর সদস্যরা। তিনি আরো বলেন, বিশ্বাস করি সবাই যদি এই করুন পরিস্থিতিতে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসেন তাহলে না খেয়ে থাকতে হবেনা কোনো অসহায়-দরিদ্র মানুষের।
এইচকেআর