আগৈলঝাড়ায় মোবাইল কোর্টের গাড়ি দেখে খাল সাঁতরে পালালো ৪ যুবক

কঠোর লকডাউন ও বৃষ্টি কোন কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ঘর থেকে মানুষের বের হওয়া। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে দোকান খোলা ও বন্ধ করা নিয়ে চলছে চোর পুলিশ খেলা।মোবাইল কোর্টের গাড়ি দেখলেই দৌড়ে পালায় লোকজন, গাড়ি চলে গেলেই আবার ফিরে আসে সড়কে ও চায়ের দোকানে। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রায় প্রতিদিনই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে উপজেলা প্রশাসন।
সড়ক যোগাযোগ ভালোর কারণে মোবাইল কোর্টের গাড়ি দ্রত চলে আসার ভয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা ভয় কাজ করলেও গ্রামের হাটবাজারগুলোতে সকল দোকানপাট খোলা রাখা হচ্ছে আগের মতোই। ওই সকল হাটবাজারে যারা আসছেন তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। এমনকি সাপ্তাহিক হাট ও পানের হাট বসানো হচ্ছে আগের মতোই। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্যরাও লকডাউন বাস্তবায়নে রয়েছেন চরম উদাসীন।
তারা দোকান বন্ধ বা লোকজনের অকারনে বাজারে আসা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। অথচ করোনা দ্রত সংক্রমনের দিক দিয়ে বরিশাল জেলার মধ্যে সংক্রমনের দিক দিয়ে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে আগৈলঝাড়া উপজেলাকে। পরীক্ষা বিবেচনায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম বলেন, একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের সর্বত্র লকডাউনের বিধি নিষেধ বাস্তবায়ন করা অসম্ভব। তাই আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলকে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে সর্বত্মক সহযোগিতা করা দরকার। জীবন বাঁচানোর জন্য প্রশাসনের সর্বত্মক কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি করছেন সচেতন মহল।
এইচকেআর