কারখানায় ৫২ শ্রমিকের পুড়ে মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ শ্রমিকের পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্যপরিষদ। তাদের দাবি এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারখানার গেট বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
শনিবার সকাল ১১টায় নগরীর সদর রোডস্থ অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে আয়োজিত ঘন্টাব্যাপী মানুববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ অভিযোগ করেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্যপরিষদের নেতৃবৃন্দ।
এসময় তারা নিহত সকল শ্রমিকদের পরিবারকে তার সারা জীবনের আয়ের সমপরিমান ক্ষতিপুরণ, কারখানার মালিককে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, কলকারখানা অধিদপ্তর কেন এই ধরনের কারাখানা পরিদর্শন করেনি তাও আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ.কে আজাদ, বাসদ বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. মনীষা চক্রবর্তী, মহানগর শ্রমিকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ নৌ-শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল জেলার সভাপতি শেখ আবুল হাসেম, জাতীয় নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জোৎসা বেগম প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সেজান জুস কারখানায় পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকা সত্বেও ওই ভবনে মালিক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। হাজার হাজার শ্রমিকের জীবনকে তিনি ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন।
যেসব শ্রমিক ওই কারাখানায় কাজ করতো তাদের মধ্যে শিশু-কিশোর শ্রমিকই ছিল বেশি। যা শিশু অধিকার আইন পরিপন্থি। অথচ কলকারখানা পরিদর্শন বা শ্রম অধিদপ্তর এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন বক্তারা।
কেআর