চরফ্যাশনে স্যানেটারি ইন্সপেক্টর এর প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড


চরফ্যাশন শশিভূষণ থানাধীন চেয়ারম্যান বাজারের মিরাজ মেডিকেল হল’র মালিক মিজানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। বুধবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোলা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.মাহমুদুল হাসান এ দণ্ডাদেশ দেন।
অভিযোগকারী চরফ্যাশন উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন এসময় উপস্থিত ছিলেন। তবে মিরাজ মেডিকেল হল’র মালিক মিজান লিখিত অভিযোগে জানান, তারা সরকারের নিয়মনীতি মেনে ড্রাগ লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ১০দিন আগে চরফ্যাশন উপজেলা স্যানেটরি ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন তার ফার্মেসীতে গিয়ে ১০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। করোনার কারণে ব্যবসায়িক অবস্থা ভালো না জানিয়ে মিরাজ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে চলে আসেন। টাকা না দেয়ায় তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে এনে এ অর্থদণ্ড করিয়েছেন।
অভিযোগে তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান বাজারে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন বেশ কিছু ফার্মেসী থাকলেও কোনটিতে অভিযান না করে শুধু মাত্র আমার ফার্মেসীতেই অভিযান চালানো হয়েছে। এটা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নুরুল আমিনের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ।
এদিকে দুলার হাট নীলিমা জ্যাকব ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনির আহমেদ শুভ্র সাংবাদিককে জানান, আমি অভিযুক্ত নুরুল আমিনকে হজ কাফেলা ব্যবসায়ী হিসেবে চিনি। উনিতো বারোমাস হজ আর জমির দালালী নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, স্যানেটারি ইন্সপেক্টরের কাজে কোন ভূমিকায় চরফ্যাশনের কোথায়ও দেখতে পাওয়া যায়না তাকে। এমনকি দুলারহাটসহ চরফ্যাশনের বিভিন্ন হোটেলে পচা বাসি খাবার বিক্রি হয়, সেখানে তাকে দেখা যায়না। এছাড়া আহাম্মদপুর গ্রামের নোমান চৌধুরী জানান, উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন সরকারি চাকরিজীবি হলেও সরকারি দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করছেন হজে লোক নেয়া এবং জমি কেনা বেচার ব্যবসায়।
উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন কুমার বসাক জানান, অফিসে তার নিয়মিত হাজিরা আছে। তবে হাজিরা দিয়ে দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
এমবি
