বিসিসি মেয়রের হস্তক্ষেপে দুই ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহর হস্তক্ষেপে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরক শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুর দেড়টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরিয়ার বাবু।
তিনি জানান, স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন আমাদের শ্রমিক নেতাদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন। মাননীয় মেয়র মহোদয় জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘবে আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য বলেছেন। আমরা তার হস্তক্ষেপে জনগণের ভোগান্তি কমাতে সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছি।
তবে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি শেষ হয়নি। আসামীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। প্রশাসন যে আশ্বাস দিয়েছে, স্বল্প সময়ে গ্রেফতার করা হবে; তা না করলে আবারো কঠোর আন্দোলনে যাবে শ্রমিক নেতারা।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকেই স্বাভাবিক হয়ে যায় বরিশাল বিভাগের অভ্যান্তরীন ৩১সহ দূরপাল্লার সকল রুটের বাস চলাচল। এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের নেতাদের গ্রেফতারের দাবীতে সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল অপরাংশ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। এর সাথে একাত্মতা পোষণ করেন বাস মালিক সমিতি।
আন্দোলনকারী শ্রমিক নেতারা জানান, জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সুলতান মাহমুদকে গ্রেফতারের দাবীতে দ্বিতীয় দিনের মত আন্দোলনে নামেন তারা। অপরাংশ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান মাহমুদ মুঠোফোনে জানান, রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রন নিতে যারা শ্রমিক নন তাদেরকে দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শ্রমিক সংগঠনের নীতিমালা অনুসারে শ্রমিক না হলে তিনি শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটিতে থাকতে পারবেন না। কিন্তু শ্রমিক ইউনিয়নের নামে একটি অবৈধ কমিটি গঠন করে পরিমল চন্দ্র দাস ও আহমেদ শাহরিয়ার বাবু রূপাতলী বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রন নিতে এই জনভোগান্তি সৃষ্টি করেন। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এসএমএইচ