১৯ দিনের জন্য সচিবালয় ছাড়লেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা


ঈদের ছুটি, বিধিনিষেধের বন্ধ আর সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা ১৯ দিনের জন্য সচিবালয় ছাড়লেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার (১৯ জুলাই) অফিসে উপস্থিতি কম থাকলেও কাজকর্ম ছিল স্বাভাবিক।
সরকার ঘোষিত এ বিধিনিষেধে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীরা (বিধিনিষেধের সময়) নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাফতরিক কাজ ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।
বিধিনিষেধ শেষে ৬ আগস্ট শুক্রবার এবং ৭ আগস্ট শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ঈদের ৩ দিন, বিধিনিষেধের ১৪ দিন এবং সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন মিলে মোট ১৯ দিনের জন্য সচিবালয় ছাড়লেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম। আর বিকেলে কর্মরতদেরকে কর্মস্থল ত্যাগ করতে দেখা যায়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে আজ উপস্থিতি আগের দিনের তুলনায় কম ছিল। আজ যারা এসেছিল তাদের মধ্যে যাদের বাসা দূরে, তারা আগেভাগেই চলে গেছে। বাকিরা ৫টার পর সচিবালয় ছাড়ে।’
পাট মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ঈদে ছুটি থাকলেও বাড়ি যাচ্ছি না। কারণ বিধিনিষেধে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।’
ঈদের পর ১৪ দিনের বিধিনিষেধে সরকারি চাকুরেদের নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালনের জন্য গত ১৪ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সব সচিবদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণাসহ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। উক্ত বিধিনিষেধের সময় সরকারি কর্মচারীগণকে নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বিধিনিষেধ আরোপকালীন সচিবদের অধীনস্থ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল দফতরের সরকারি কর্মচারীকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকা এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এইচকেআর
