ঢাকা রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

১৮ কিলোমিটার সড়ক যেন মরণ ফাঁদ   

১৮ কিলোমিটার সড়ক যেন মরণ ফাঁদ   
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

লাকুটিয়া-বাবুগঞ্জ ১৮ কিলোমিটার সড়ক এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ৫ থেকে ৭ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে রিকশা-ভ্যান, অটো ও সিএনজি, বাস ও ট্রাক চালকরা। প্রতিদিনই ঘটছে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ হয়েছেন পঙ্গুও। সড়কের বেহাল দশার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, লাকুটিয়া হয়ে বাবুগঞ্জ কলেজ রোড পর্যন্ত ১৮.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি বিভাগীয় শহর বরিশালের সঙ্গে বাবুগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জের লাখ লাখ মানুষের সহজ যোগাযোগের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সড়কটির একেবারে বেহাল দশা।

এলজিইডি বরিশাল অফিস জানায়, লাকুটিয়া হয়ে বাবুগঞ্জ কলেজ রোড পর্যন্ত সড়কটির মধ্যে বরিশাল নগরী অংশে ২.৫ কিলোমিটার, বরিশাল সদর উপজেলা অংশে ৭.৩ কিলোমিটার ও বাবুগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন সড়ক ৫.৮ কিলোমিটার। বরিশাল নগরী অংশের ২.৫ কিলোমিটার মোটামুটি ভালো হলেও বাকি ১৫.৮ কিলোমিটার সড়ক একেবারেই যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। সবশেষ বরিশাল সদর উপজেলাও বাবুগঞ্জ উপজেলাধীন ১৫.৮ কিলোমিটার সড়ক পুনর্নির্মাণ করা হয় ২০১২-২০১৩ সালে। এরপর বাবুগঞ্জ অংশের ২ কিলোমিটার সংস্কার করা হয় ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে। এরপর থেকে এই সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ফলে ছোট ছোট যানবাহন কাত হয়ে পড়ে আহত হচ্ছেন যাত্রী ও চালকরা। পঙ্গু হয়েছেন কেউ কেউ।

এই সড়কের থ্রি হুইলার যাত্রী মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, সড়কটির খুবই খারাপ অবস্থা। চলাচলের মতো অবস্থা নেই। বিশেষ করে বর্ষাকালে একেবারে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়।
 
স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল শরীফ জানায়, স্থানীয় হাজার হাজার মানুষের বরিশালে যাতায়াতের একমাত্র পথ লাকুটিয়া সড়ক। অথচ লাকুটিয়া সড়ক নিয়ে বেহাল অবস্থায় আছে এলাকাবাসী। এই সড়ক দিয়ে চলাচল খুবই মুশকিল কিছুদিন আগে একটি গাড়ি উল্টে পড়ে একজন মারা গেছে। এই সড়ক দিয়ে এখন আর যাতায়াত করার মতো পরিস্থিতি নেই। ভ্যান চালক মো. নুরুজ্জামান জানান, এই সড়কে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। প্রায়ই গাড়ি উল্টে যায়। গত ৫-৭ বছর ধরে সড়কের একই হাল দেখছেন তারা।
 
অটোচালক রহিম হাওলাদার জানান, এই সড়কে ভ্যান চালাতে নানা সমস্যায় পড়েন তারা। প্রায়ই ভ্যানের চাকা বাকা হয়ে যায়। ভ্যানের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। মোটর সাইকেল চালক শহিদুল ইসলাম বলেন, নতুন বাজার থেকে লাকুটিয়া বাজার পর্যন্ত সড়কে খুই সমস্যা একজন ডেলিভারি রোগী এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে গেলে তার ডেলিভারি রাস্তায় হয়ে যাওয়ার অবস্থা। ভুক্তভোগীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান। একবার সংস্কার করলে যাতে ৫-৭ বছর অনায়াসে রাস্তা ভালো থাকে সেই দাবি জানান মাহেন্দ্র আলফা চালক মো. জুয়েল।
 
সড়কটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করেন বরিশাল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো. জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, এই সড়কটি সংষ্কারের জন্য নতুন অর্থ বছরে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই অবিলম্বে সড়কের সংস্কার শুরু হবে।


এসএমএইচ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন