বরিশাল এক্সপ্রেস পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসে দুঃসাহসিক চুরি
.jpg)

বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। এসময় সংঘবদ্ধ চোর চক্র এলাকার নৈশ প্রহরীকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত পা বেধে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চুরির কবলে ক্ষতিগ্রস্থ মুসা ইলেকট্রিক সামগ্রী ব্যবসায়ী সুমা হামলায় আহত নৈশ প্রহরীর বরাত দিয়ে বলেন, ‘রাত চারটার দিকে একদল চোর ট্রাক যোগে এসে চুরি সংঘটিত করে। প্রথমেই তারা এলাকার নৈশ প্রহরী খোরশেদ আলমকে ধরে হাতপা বেধে বেধড়ক মারধর করে।
এদিকে, খবর পেয়ে রবিবার সকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ঘটনাস্থলে চুরির ঘটনায় বিভিন্ন আলামত জব্দ করেন। পাশাপাশি ঘটনায় আহত নৈশ প্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
সুমা ইলেকট্রিক এর মালিক দাবি করেছেন তার দোকান থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের ক্যাবল এবং পাখা বিহীন ২০টি’র মতো ফ্যান চুরি করে নিয়েছে চোর চক্র।
তবে চুরি হওয়ার ঘটনা স্বীকার করলেও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা চুরির ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশে আপত্তি তুলেছেন পার্শ্ববর্তী বরিশাল এক্সপ্রেস পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। আলাপকালে প্রতিষ্ঠানটির প্রোপাইটর মোফাজ্জেল খান বলেন, ‘চুরির ঘটনা সত্যি।
তবে আমরা ব্যবসায়ীক স্বার্থে এ বিষয়ে আপাতত কোন তথ্য দিতে চাচ্ছি না। তাছাড়া আমাদের এখানে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেননা এখানে বিভিন্ন স্থান হতে পার্সেল আসে। গ্রাহক আসলে তাদের কাছ থেকে বরাদ্দপত্র পেলে তার পরেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমানটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
অপরদিকে, ‘কুরিয়ার সার্ভিসটির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কুরিয়ার সার্ভিস থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘চুরি হয়েছে বলে দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই দাবি তোলা হয়েছে। তবে আসপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনেক সিসি ক্যামেরা থাকলেও চুরি হওয়া দুটি প্রতিষ্ঠানে কোন সিসি ক্যামেরা নেই। এ কারণে চোর চক্রেকে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাছাড়া প্রত্যক্ষদর্শী নৈশ প্রহরীকে মারধার করায় সে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তার কাছ থেকে বিস্তারিত কিছু যানা যাচ্ছে না। তাছাড়া বিকাল ৬টা পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোন মামলা বা সাধারণ ডায়েরীও হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
কে.আর
