বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপর প্রশাসন

সরকারের পূর্বঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। করোনার বিস্তার রোধে দেশের অন্যান্য জেলার মতো বরিশালেও বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপর প্রশাসন। সকাল থেকেই মাঠে কাজ করছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
জরুরি সেবার আওতাভুক্ত ওষুধ, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাদ্যসামগ্রীর দোকান খোলা রয়েছে। চলাচল করছে রিকশা, অটোরিকশা, প্রাইভেট কারসহ বিধিনিষেধের আওতামুক্ত যানবাহন। তবে অলিগলিতে, মোড়ে মোড়ে ও বাজারে মানুষের অহেতুক ঘোরাফেরা ও উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
বরিশাল মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। প্রয়োজনছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। মাস্কছাড়া বের হওয়া মানুষের করা হচ্ছে জেরা।
চেকপোস্টগুলোতে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অহেতুক ঘোরাফেরা বন্ধে মানুষকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। ‘দাঁড়ান, কোথায় যাচ্ছেন? মুখে মাস্ক নেই কেন? কাগজপত্র দেখান? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে ঘর থেকে হওয়া মানুষজনকে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের আমতলার মোড়, রূপাতলী চত্বর, কাকলীর মোড়, চৌমাথা , জেলখানার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার বাহিনী মাঠে কাজ করছে।
শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়াতে হাট-বাজারে মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করার মতো ছিল। তবে পরিবহন সেবা পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষজনকে। বাড়তি ভাড়ার আশায় গ্রামগঞ্জের রিকশা, অটোরিকশা এখন বরিশাল নগরমুখী।
এতে পুরো নগরে রিকশার দৌরত্ম্য বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কির ঘটনাও। ঘর থেকে বের হওয়া মানুষজনকে বিভিন্ন সড়কে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করে ছাড়ছে ট্রাফিক পুলিশ।
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে। নেই পরিবহনের চাপ। তবে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ হালকা যানবাহন চলাচল করছে। শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকতে দেখা গেছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ডিসি মো.জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধ কার্যকর করতে মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো রয়েছে। কোনো গণপরিবহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজনে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। অহেতুক ঘোরাঘুরি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
এইচকেআর