বাবুগঞ্জে লকডাউনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার গত ১৫ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করে। এই সময়ে পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী থেকে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন হাজারো মানুষ । তবে ঈদ শেষে আবার কর্মস্থানে ফিরতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অনেকের।
বরিশাল জেলা শহর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসকে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের নতুন হাট এলাকায় থেকে আবার বরিশালের উদ্দেশ্যে ফিরে যেতে হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকালে ঈদ পরবর্তী কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের নতুন হাট এলাকায় চেকপোস্ট থেকে তাদের কে ফিরে যেতে হয়েছে। এছাড়াও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাবুগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ঢাকা - বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর বাস স্ট্যান্ডে বেসরকারি চাকরিজীবী মোঃ শাহাব উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঈদ উপলক্ষে বাড়ি আসছি। ঈদের দ্বিতীয় দিন পরিবারে অনুষ্ঠান থাকায় ঢাকা যাওয়া সম্ভব হয়নি। আজ কঠোর লকডাউন চলছে। ঢাকা যেতে না পারলে চাকরি চলে যাবে। কিভাবে যাবো ভেবে পারছিনা। মানুষ কে তাদের কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য আরো ২/১ পরে লকডাউন দেওয়া উচিত ছিল। এ ধরনের লকডাউনে শুধু জনগণের ভোগান্তি বাড়ায়।
বাবুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী কর্মকর্তা ( অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, সরকারি বিধিনিষেধ ও কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। লকডাউন বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুর রহমান জানান, সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে অবস্থান করছেন। ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের নতুন হাট এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চলমান রয়েছে।
এসময় সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস কিছু যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার নতুন হাট এলাকায় আসলে তাদেরকে পূনরায় বরিশাল ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কেআর